চলছে আইপিএল 2024। আপাতত কমলা টুপির তালিকায় সবার আগে রয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৫ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩১৬ রান। গড় ১০৫। পরিসংখ্যান দুর্দান্ত হলেও সমালোচনা এড়াতে পারছেন না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) মহাতারকা। নেপথ্যে তাঁর স্ট্রাইক রেট। গত দিনকয়েক ধরেই টি-২০ ক্রিকেটে আদর্শ স্ট্রাইক রেট কি হওয়া উচিৎ তা নিয়ে চলেছে তীব্র বিতর্ক। এক শ্রেণির ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন দলের স্বার্থে দ্রুত ইনিংস খেলাতেই লুকিয়ে রয়েছে সাফল্যের মূল মন্ত্র, অন্যদের মতে খানিক সময় নিয়ে, পিচের চরিত্র বুঝে তারপর আক্রমণে যাওয়ার মধ্যে দোষের কিছুই নেই। সম্প্রতি রাজস্থান রয়্যালসের (RR) বিরুদ্ধে বিরাটের মন্থর শতরানের পর এই বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি পড়েছে।
চলতি আইপিএলে (IPL) বেশ বেকায়দায় রয়েছে বেঙ্গালুরু (RCB) ফ্র্যাঞ্চাইজি। একমাত্র পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিতেছে তারা। হারতে হয়েছে চেন্নাই, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে। রান পেলেও ‘ভিলেন’ তকমা পাচ্ছেন কোহলি (Virat Kohli)। গত শনিবার জয়পুরের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে বেঙ্গালুরু। অপরাজিত ১১৩ রান করেন বিরাট। কিন্তু খরচ করেন ৭২ বল। তিন অঙ্কের মাইলস্টোন ছুঁতে তাঁর লেগেছিলো ৬৭টি ডেলিভারি। আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে যা মন্থরতম। শেষ পাঁচ বলে ১৩ রান করে স্ট্রাইক রেট ১৫৬-এর আশেপাশে নিয়ে গেলেও মাঝের ওভারে প্রচুর পরিমাণে বল অযথা খরচ করেছেন বিরাট (Virat Kohli), উঠছে অভিযোগ। বাটলারের ঝোড়ো শতরানে রাজস্থান জিতে যাওয়ায় কটাক্ষের তীরে বিদ্ধ ভারতীয় মহাতারকা।
Read More: IPL 2024: “এই জয়টা দলের সবাইকে…”, গুজরাটকে পর্যুদস্ত করে বড় স্বীকারোক্তি লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুলের !!
স্ট্রাইক রেট বিতর্কে মতামত জানালেন বাবর আজম-

কোহলির (Virat Kohli) মতই স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রায়শই নিন্দুকদের তোপের মুখে পড়তে হয়ে পাকিস্তানের বাবর আজমকেও (Babar Azam)। টি-২০ ক্রিকেটে সাধারণত ওপেন করেন বাবর। পাওয়ার-প্লে’তে তাঁর বড় শট খেলার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। কোহলির শতরানের পর সাম্প্রতিক স্ট্রাইক রেট নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ছুঁয়ে গিয়েছে পাক তারকাকেও। সংবাদমাধ্যম জালমি টিভি’র একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এসে বাবর (Babar Azam) জানান, “আজকাল স্ট্রাইক রেট উঁচুর দিকেই রাখতে হয়। আমি আলাদা ধরণের খেলোয়াড়। আমি মাঠের পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এখন ক্রিকেট অত্যন্ত দ্রুত হয়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু শেষমেশ লক্ষ্য তো ম্যাচ জেতাই।” যে কোনো মূল্যে জয়কেই যে তিনি পাখির চোখ করেন তা স্পষ্ট করেছেন বাবর।
বাবর (Babar Azam) আরও বলেন, “নিজের খেলা সম্পর্কে আমার সম্যক ধারণা রয়েছে। আমি জানি কোন ডেলিভারিতে আমি কোন শট খেলতে পারি, কোথায় উন্নতি করতে পারি। সবকিছুই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে, আমিও খোলা মনে খেলতে পারি। কিন্তু কখনও কখনও ইনিংসকে তৈরি করতে হয়।” সতীর্থদের পারফর্ম্যান্সের উপরেও যে তাঁর স্ট্রাইক রেট নির্ভর করে, তা জানিয়েছেন বাবর। বলেন, “হাতে উইকেট থাকলে আমরাও বেশী স্ট্রাইক রেটে খেলতে পারি।” নিন্দুকদের পাত্তা দিতে রাজী নন বাবর। জানান, “মাঝেমধ্যেই অনেকের আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমস্যা থাকে। আমি (নিজের ব্যাটিং নিয়ে) খুশি। যদি ১৫০ স্ট্রাইক রেট থাকে, ওরা বলবে ১৭০ হওয়া উচিৎ, তারপর বলবে ২০০ হওয়া উচিৎ।”