আইপিএলের এই মরশুমে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের প্রদর্শন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে, গত এক সপ্তাহে বেশকিছু ম্যাচ এমন দেখতে পাওয়া গিয়েছে, যেখানে দলগুলিকে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের উপর বেশি নির্ভর করতে দেখা যায়নি। এই কারণে তাদের নিয়মিত উপেক্ষাও করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা খেলোয়াড়রাও রয়েছেন, যার মধ্যে একটি নাম যথেষ্ট অবাক করে দেওয়ার মতো।
এই অবস্থায় প্রশ্ন এটাই যে দলে এই খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ না দিয়েই কীভাবে উপেক্ষা করা যেতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা অস্ট্রেলিয়ার সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কথা বলব যাদের এই আইপিএলে নিয়মিত উপেক্ষা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা কেনো হচ্ছে উপেক্ষিত?
আইপিএল ২০২১ এ গত এক সপ্তাহে খেলা হওয়া ম্যাচগুলিতে বেশ কয়েকবার অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের উপেক্ষিত হতে দেখা গিয়েছে। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও শামিল রয়েছেন, যার কাছ থেকে সম্প্রতিই হায়দ্রবাদের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে প্রথম একাদশ থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর সবচেয়ে বড় কারণ থেকেছে হায়দ্রাবাদের এই মরশুমে নিরাশাজনক প্রদর্শন। যার ফলে টিম ম্যানেজমেন্টকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। কিন্তু ওয়ার্নারকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পেছন দলের কি ভাবনা থেকে থাকবে, কারণ ওয়ার্নার আইপিএলের প্রত্যেক মরশুমের মতোই এবারও ব্যাট হাতে নিজের যোগদান দিয়ে ৬টি ম্যাচে ৩২.১৬ গড়ে ১৯৩ রান করেছেন। তা সত্ত্বেও তাকে কেনো বাদ দেওয়া হল।
দল ভরসা কম করছে
আইপিএলের এই মরশুমেও এটাও খুব বেশি দেখতে পাওয়া গিয়েছে যে দল আর দলের অধিনায়ক এই খেলোয়াড়দের উপর কম বিশ্বাস দেখাছে। এর উদাহরনও আমরা গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার দেখেছি। যার মধ্যে সবার আগে কথা বলতে হবে দিল্লি ক্যাপিটাওসের মার্কস স্টোইনিসের কারণ দিল্লি দল এই খেলোয়ায়ড়ের বোলিং আর ব্যাটিং নিয়ে ততটা ভরসা করছে না।
এছাড়াও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা নাথান কুইল্টার নাইলের উপরও এইভাবে ভরসা দেখানো হয়নি। জানিয়ে দিই কুল্টার নাইলকে এই মরশুমে মাত্র একটিই ম্যাচে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়ছে, যেখানে তিনি নিজের ৪ ওভারের বোলিংয়ে ৩৫ রান দিয়েছিলেন, আর কোনো উইকেট নেননি। এরপর তাকে পরের ম্যাচে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।