৬৩ টি টেস্ট ও ১২০ টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞা সম্পন্ন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা খেলোয়ার অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং কোচ হয়েছেন। দেশটির সাবেক উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রাড হাডিন ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে হাডিনের প্রথম পরীক্ষা বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষে ২০১৫ সালের অ্যাশেজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো পরই কোচিংয়ে নাম লেখান হাডিন। এরমধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস এবং অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাডিন। ছিলেন গত বছর অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সহকারী কোচের দায়িত্বেও। এরপর এ বছর নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ। অন্যদিকে বর্তমান ফিল্ডিং কোচ গ্রেগ ব্লিউয়েট দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচের। তবে বাংলাদেশ সফরকে উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার থেকে ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার যে প্রস্তুতি ক্যাম্পে শুরু হচ্ছে তাতে থাকবেন দুজনই। ক্যাম্প শেষে ব্লিউয়েট ফিরে যাবেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায়।
বাংলাদেশ সফরে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর হাডিন বলেন, তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি বলে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। রিকি পন্টিং ও অ্যান্ড্রু সাইমন্ডদের যুগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে অন্য মাত্রা পৌঁছে ছিল ফিল্ডিংয়ের মান। স্মিথদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেন হাডিন। সাবেক এই তারকা খেলোয়ার বলেন, “রিকি পন্টিং ও অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসদের যুগে বেড়ে উঠেছি। ওই সময় বিশ্বমানের ফিল্ডিং দিয়ে নিজেদের আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আমি চাই, এ দলটিও সেই মান ধরে রাখুক।” সাথে সাথে তিনি এটাও বলেন যে বর্তমান দলের খেলোয়ারদের সামর্থ্যরে উপরও তার পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। তিনি আরো বলেন যে দলে চার জন বা তার বেশি বোলার যারা প্রতিতি ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার বল করতে পারে থেকে লাভ নেই, যদি ফিল্ডিং এ আমরা প্রতিপক্ষের জন্য অসুবিধে করতে না পারি।
প্রায় দুই মাস বিরতির পর বাংলাদেশ সফর সামনে রেখে ডারউইনে প্রস্তুতি ক্যাম্পে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। গতকাল থেকেই বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তারা। দীর্ঘ বিরতিতে থাকলেও বাংলাদেশ সফর নিয়ে ‘ভয়’ নেই বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ ড্যারেন লেহম্যান। তিনি জানান, বাংলাদেশ সফরের জন্য ফুরফুরে ও চনমনে থাকছে দল
খেলোয়াড়দের চাঙ্গা মনোভাবের সঙ্গে বাংলাদেশের কন্ডিশন ও উইকেট নিয়েও কথা বলেছেন লেহম্যান। বাংলাদেশের স্পিন নিয়ে রণকৌশলের পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। গত অক্টোবরে বাংলাদেশের স্পিন-বান্ধব উইকেটে বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল পরাশক্তি ইংল্যান্ড। তাই এই সফরের আগে থেকেই বাংলাদেশের স্পিন নিয়ে কাজ করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ডারউইনে বাংলাদেশের মতো উইকেটে প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্মিথরা। লেহম্যান বলেন, বাংলাদেশে আমরা যে উইকেট পাব, সেই ধরনের উইকেট তৈরি করেছে নর্দান টেরিটরি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। মন্থর ও উইকেটে বল ঘুরবে। সেখানে তিনটি উইকেট রয়েছে ঢাকার মতো এবং তিনটি উইকেট রয়েছে চট্টগ্রামের মতো। মাঝ উইকেটে আমরা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারব। আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করতে পারব। যে কন্ডিশন, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় আমরা বাংলাদেশে খেলব, সেটি বিবেচনা করেই দারুণ প্রস্তুতি হবে।
দলের সাথে ব্রাড হাডিনের যোগদানও বাংলাদেশ সফরে থাকায় তাও অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি বড় পাওনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে, কারন ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়া এই অজি ক্রিকেটার বাংলাদেশের বর্তমান খেলোয়ারদের ব্যাপারেও ভাল ধারনা রাখেন, ২০১৫ সালে ই তিনি বাংলাদেশ কে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ” নিশ্চিত করে তারা বিপজ্জনক একটি টিম , তাদের কিছু ম্যাচ জেতান খেলোয়ার আছেন, তাদের দলে বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার আছেন, সাকিব ছাড়াও দল ভালো করার মত বেশ কিছু প্লেয়ার আছেন। “