কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে স্বপ্নপূরণ হয়েছে আর্জেন্তিনার। দীর্ঘ ছত্রিশ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ ফিরছে বুয়েনস আইরেসে। লিওনেল মেসি, আঙ্খেল দি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্তিনেজদের হাত ধরে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে কাঙ্খিত ট্রফি জিতে নিয়েছে লা আলবেসেলিস্তে। জার্সিতে দুই তারার দিন শেষ। নতুন বছরে তিন তারা আঙা সাদা-নীল জার্সিতে দেখা যাবে আর্জেন্তিনীয় ফুটবলারদের। বিশ্বকাপ জিতে পাসারেলা, মারাদোনা, বুরুচাগাদের টেবিলে নিজেদের চিরস্থায়ী জায়গা করে নিলেন লিওনেল মেসিরা (Lionel Messi)। পেলেন অমরত্বের সন্ধান। এই অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দে মাততে দেখা গিয়েছে আর্জেনিতানার নাগরিকদের। বুয়েনস আইরেস, রোসারিওর মত শহরের রাস্তায় তিলধারণের জায়গা নেই। সাফল্যে উদ্দাম ফুটবলাররাও। মেসির মত আপাত শান্ত মানুষকেও বাঁধনহারা হয়ে সাজঘরের টেবিলে উঠে নাচতে দেখা গিয়েছে। এমনটা যে হবে তা আগেই জানিয়েছিলেন একজন। ঘটনাচক্রে তাঁর বাস আবার আর্জেন্তিনার চরমতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলে। অক্ষরে অক্ষরে ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে চর্চায় উঠে এসেছেন আথোস সালোম।
মিললো আথোসের ভবিষ্যদ্বাণী, মেসিদের হাতেই বিশ্বকাপ-

ফুটবল মাঠে এক রোমাঞ্চকর থ্রিলার দেখলো বিশ্ববাসী। ৮০ মিনিট অব্দি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এবং আঙ্খেল দি মারিয়ার (Angel Di Maria) গোলে এগিয়ে থেকেও টাইব্রেকারে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে হলো আর্জেন্তিনাকে। ফ্রান্সের তরুণ তুর্কি কিলিয়ান এমবাপের এক মিনিটের ঝড় ধরাশায়ী করে দিয়েছিলো লা আলবেসেলিস্তেকে প্রায়। প্রথমার্ধে আর্জেন্তিনার সামনে পাত্তা পায় নি ফ্রান্স। ২৩ ও ৩৫ মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিলো তারা। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-১ করেন এমবাপে (Kylian Mbappe)। ৮১ মিনিটে মার্কাস থুরঁ’র পাস থেকে দুর্দান্ত সাইড ভলিতে ২-২ করে দেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ে মেসি ৩-২ করলেও বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় নি অগ্রগমন। ১১৭ মিনিটে আবার পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান এমবাপে। ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম কেউ বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাট্রিক করলেন। টাইব্রেকারে দেশের নায়ক হয়ে ওঠেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তাঁর হাত ধরেই ট্রফি ঢুকলো লাতিন আমেরিকায়। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ শেষে আর্জেন্তিনাই যে ট্রফি ঘরে তুলবে তা জানিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ভবিষ্যদ্রষ্টা আথোস সালোম। গণিতবিদ পিথাগোরাসের কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছিলেন ফ্রান্স ও আর্জেন্তিনা মুখোমুখি হবে ফাইনালে। জিতবে সাদা-নীল বাহিনীই।
একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে আথোস সালোম-

কেবলমাত্র বিশ্বকাপ ফাইনাল নয়, এর আগেও একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের ৩৬ বর্ষীয় আথোস সালোম (Athos Salome)। ফরাসি দার্শিনিক নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীও এইরকম মিলতে দেখা যেত। লন্ডনের অগ্নিকাণ্ড, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হিটলারের উত্থানসহ নানা ঘটনা নিয়ে নস্ত্রাদামুস আগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। প্রায় একই রকম ভাবে ভবিষ্যতের নানা ঘটনা নিয়ে আগেভাগেই জানিয়ে দিচ্ছেন আথোস। তাঁকে আধুনিক নস্ত্রাদামুস নামেও ডাকতে শুরু করেছেন কেউ। ২০২০ সালে সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলো করোনা ভাইরাস। মারণ ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তার আভাস দিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ভবিষ্যদ্রষ্টা। এছাড়াও ২০২২ সালে ৭২ বছরের রাজত্ব শেষে পরলোকগমন করেন ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলজিবেথ। তাঁর মৃত্যু নিয়েও সালোমের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।