Asia Cup 2023: আগামী ৭ জুন থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ শুরু হতে চলেছে। তার পরেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এশিয়া কাপ। বিগত ৯-১০ মাস ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আসন্ন এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) আয়োজন নিয়ে চলছিল জল্পনা, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সেক্রেটারি জয় শাহ (Jay Shah) আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় দল কোনোমতেই পাকিস্তানে যাবে না। তবে অবশেষে এশিয়া কাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা জানা গেল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জয় শাহের বিরোধিতার পরেও এশিয়া কাপের আসর বসছে পাকিস্তানেই।
জয় শাহ নিলেন বড় সিদ্ধান্ত
কিন্তু এখানে আছে আবার একটি মজার বিষয় , এশিয়া কাপের আসর পাকিস্তানে বসলেও ভারতীয় দল যাবে না পাকিস্তানে। অনেক চিন্তাভাবনার পর চূড়ান্ত হয়েছে যে এটি শুধুমাত্র পাকিস্তানে খেলা হবে। ভারত তার সব ম্যাচ খেলবে বিদেশের মাটিতে। অক্টোবর-নভেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। যেটি ১৩ দিন ধরে চলবে, যাতে মোট ১৩ টি ম্যাচ খেলা হবে। বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে চলমান কোন্দল কমার বদলে আরো বাড়ছে। যদিও মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর এশিয়া কাপ হতে পারে। এর কারণ হলো বিসিসিআইয়ের কঠোর অবস্থান।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ ACC’র প্রধান ও বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ এবার বাবর বাহিনীকে ছাড়াই এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। তবে এই বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এই সপ্তাহে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় শ্রীলঙ্কায় টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হোক। যে কারণে, পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠিকে এসিসির পরবর্তী বৈঠকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হবে যে পাকিস্তানে টুর্নামেন্টটি হবে না।
পাকিস্তানে হবে না এশিয়া কাপ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, “বিসিসিআইয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে এশিয়া কাপ পাকিস্তান আয়োজন করবে এইরকম কোন সম্ভাবনা নেই। এদিকে আমরা আইসিসির কাছে আর্জি জানাবে যাতে পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থানান্তর করা যায়। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। আপাতত শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হতে চাইছে। তবে বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে, জানা গিয়েছে যে পাকিস্তানের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়টি। বিসিসিআই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এখন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কাছে একমাত্র বিকল্প হল যে হয় তারা টুর্নামেন্টে অংশ নিক অথবা প্রত্যাহার করে দিক।