তার নেতৃত্বে পরপর দুই বছর আইপিএলের প্লে অফে উঠতে ব্যার্থ হয়েছিল কিংস ইলেভেন পান্জাব।তাই অনেকেই মনে করেছিলেন ২০২০ সালের আইপিএলে পান্জাবের জার্সিতে না দেখা যেতেই পারে আর অশ্বিনকে।পরবর্তী সময়ে শোনা যাচ্ছিলো ছেড়ে দেওয়ার বদলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সাথে তাকে অদলবদলের আওতায় আনতে পারে পান্জাব কর্তৃপক্ষ।যদিও পরবর্তী সময়ে অনিল কুম্বলের পান্জাব ম্যানেজমেন্টে যোগদান অশ্বিনের দলে থাকার বিষয়টি খানিকটা নিশ্চিত করলেও এমনটা হয়নি,অবশেষে পান্জাব ছেড়ে দিল্লিতে যোগ দিলেন এই ভারতীয় স্পিনার।
মুম্বাই মিররকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে অশ্বিন জানিয়েছেন পান্জাব দলের মালিকরা তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়নি।গত দুই আইপিএল সিজেনে অশ্বিনের নেতৃত্বে ২৮ টি ম্যাচ খেলেছিলো পান্জাব।জিতেছিলো ১২ টি ম্যাচ।২০১৮ এর আইপিএলে প্লে অফে যাওয়ার আশঙ্কা দৃঢ় করে তুললেও পরের দিকে একের পর এক হতাশজনক হার তা অধরাই রেখে দিয়েছিল।
“পান্জাবে দারুণ সময় কাটিয়েছি আমি।অনেকটা অভিজ্ঞতা সন্চয় করেছি।আমাকে অধিনায়কত্বে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যা একেবারেই নতুন বিষয়ে ছিলো আমার কাছে।আমার মনে হয় যতটুকু চেষ্টা করেছি ,তা ভালো না হলেও খারাপ ও নয়।যদিও সব সিদ্ধান্ত আমি নিইনি।দলের মালিকরা মনে করেছে আমি আমার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে ব্যার্থ।যা ঠিকই,কারণ গত দুই সিজেনে আমি একবারো দলকে প্লে অফে নিয়ে যেতে পারিনি ” ।এমনটাই জানিয়েছেন অশ্বিন।
প্রসঙ্গত, দিল্লি ক্যাপিটালসে তরুণ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে খেলবেন অশ্বিন।তার ন্যায় গত দুইবারের রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে যোগ দিয়েছেন দিল্লি দলে।
পান্জাবের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছিলেন অশ্বিন।মোট সাতটি সিজেনে হলুদ জার্সি গায়ে আইপিএলে দেখা গেছে তাকে।২০১৬ সালে তিনি খেলেছিলেন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে।২০১৭ সালে আইপিএলে খেলতে পারেননি হার্নিয়া হওয়ার দরূন।২০১৮ এর আইপিএলে ফের তাকে চেন্নাই সুপার কিংস নেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি পান্জাব তাকে ছিনিয়ে নেয় ৭.৬ কোটি টাকার বিনিময়ে।
অশ্বিনের পান্জাব ছেড়ে দেওয়ার পর এখনও দলের তরফে নতুন অধিনায়কের নাম না জানানো হলেও অনেকে মনে করছেন দৌড়ে এগিয়ে কে এল রাহুল।ইতিমধ্যে পান্জাব দলে যোগ দিয়েছেন দু ই ক্রিকেটার , দিল্লি থেকে জাগদিশা সুচিথ এবং রাজস্থান থেকে কৃষ্ণাপ্পা গৌথম।