IPL 2025: লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে এক উইকেটে পরাস্ত করে রুদ্ধশ্বাস একটি জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি ক্যাপিটাল্স। আজকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে টস জিতেছেন দিল্লি দলের নব্য ঘোষিত অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ফিল্ডিং করতে এসে বিপক্ষ দলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল অক্ষর বাহিনীকে। শুরুতেই অবশ্য এইডেন মার্কারামকে (Aiden Markram) প্যাভেলিয়ানে ফেরাতে সক্ষম হয়েছিলেন দিল্লির বিপ্রজ নিগাম। এরপর মিচেল মার্চ (Mitchell Marsh) এবং নিকোলাস পুরাণের (Nicholas Pooran) বিধ্বংসী ব্যাটিং উপভোগ করেছে বিশাখাপত্তনমে উপস্থিত থাকা ক্রিকেট অনুপ্রেমীরা। দীর্ঘ তিন মাস পর ফিরে এসেই ৩৬ বলে প্রাক্তন দল দিল্লি ক্যাপিটালস দলের বিরুদ্ধে ছয়টি চার এবং ছয়টি ছক্কায় ৭২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন মিচেল মার্চ। পাশাপাশি ৩০ বলেই ছয়টি চার ও সাতটি ছক্কায় ৭৫ রান বানান নিকোলাস পুরান (Nicholas Pooran)। যদিও লখনৌ দলের অধিনায়ক ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) ব্যাট ছিল নিতান্তই শান্ত। ৬ বলে খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরিতে হয়েছিল তাকে।
২০৯ রানে শেষ হয়েছিল লখনৌয়ের ব্যাটিং

শেষের দিকে ডেভিড মিলারের ২৭ রানের ইনিংসে লখনও দল নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। জবাবে ব্যাটিং করতে এসে দিল্লি দলের সূচনাটা একদমই ভালো হয়নি। ৭ রানের মাথায় তিন খেলোয়াড়কে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছিল দিল্লির। ভাইস ক্যাপ্টেন ডুপ্লেসিস ২৯, ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল ২২ রান বানিয়েও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের লোয়ার মিডিল অর্ডারে ব্যাটিং করতে আসা ট্রিস্টান স্টাবস (Tristan Stubbs) ৩৪ এবং আজ অভিষেক করা বিপ্রজ ১৫ বলে ৩৯ রানের একটি দুর্দান্ত ক্যামিও খেলেন।
Read More: IPL 2025: বিশাখাপত্তনমে উঠলো আশুতোষ শর্মার ঝড়, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিলো দিল্লি !!
তবে আজকের ম্যাচের নায়ক ছিলেন আগুতোষ শর্মা (Ashutosh Sharma)। কেবলমাত্র ৩১ বলে পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছক্কায় ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দিল্লিকে এক উইকেটে আজকের ম্যাচটি জিততে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনের পর তাকেই ম্যাচের সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
বিধংসী ব্যাটিং করে ম্যাচ জেতালেন আশুতোষ

ম্যাচ সেরা হয়ে বেশ খুশি আশুতোষ। মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “গত বছর থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আগের মরশুমে দু-একবার খেলা শেষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেছিলাম। পুরো বছর ধরে মনোযোগ দিয়ে ভেবেছিলাম এবং কল্পনা করেছিলাম কিভাবে আমি ম্যাচগুলি সমাপ্ত করতে পারি। আমার বিশ্বাস ছিল শেষ ওভার পর্যন্ত আমি খেলতে পারলে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। বিপ্রজ ভালো খেলেছেন, আমি তাকে মারতে বলেছিলাম। চাপের মধ্যে সে নিজেকে শান্ত রেখেছিল, আমার এই পুরস্কারটি আমি আমার মেন্টর শিখর ধাওয়ান পাজিকে উৎসর্গ করতে চাই।”