BCCI: বুধবার লখনউয়ে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (IND vs SA) চতুর্থ টি টোয়েন্টি ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। দর্শকরা দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে উপস্থিত থাকলেও একটি বলও খেলতে দেখতে পায়নি তাঁরা। দিনের শুরু থেকেই মাঠ ছিল কুয়াশায় ভরা। আর সেই কুয়াশার দাপটেই ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। সন্ধ্যা থেকে একাধিকবার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে আম্পায়াররা। শেষবার রাত ৯.৩০’ টার দিকে একবার কুয়াশা পর্যবেক্ষনে বার হয়েছিল আম্পায়াররা। তবে মাঠে কুয়াশা এতটাই বেশি ছিল যে ফ্লাডলাইটের আলোও কুয়াশা ভেদ করে পৌঁছোচ্ছিল না। যে কারণে ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় আম্পায়াররা। ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর দর্শকদের ক্ষোভ ফেটে পড়ে।
ভেস্তে গিয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ম্যাচ

মাঠে খেলা দেখতে আশা এক দর্শক সংবাদসংস্থাকে জানান, তিনি নিজের খেতের গম বিক্রি করে টিকিট কেটেছিলেন, তাই তিনি টাকার ফেরত চান। অন্য এক সমর্থক দাবি জানান যদি ম্যাচটি আগে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে হয়তো খেলা দেখতে পাওয়া যেত। আবার অনেকেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেই দোষী বানাচ্ছে। বিশেষ করে এখন উত্তর ভারতে – দিল্লি ও লখনউয়ের দিকে প্রচুর কুয়াশা, আর এই পরিস্থিতিতে খেলা করানো সম্ভব নয়। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচটির জন্য প্রথমে ভ্যানু হিসাবে দিল্লিকে রাখা হয়েছিল তবে পরে ভ্যানু বদল করে কলকাতার ইডেনে সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লখনউ তে ম্যাচটি ভেস্তে যেতেই ভক্তরা টিকিটের দাম ফিরে পাওয়ার আর্জি জানায়।
টাকা ফেরাতে রাজি BCCI

বিসিসিআইয়ের (BCCI) নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ম্যাচ এক বলও না হলে টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া যায়। এই ম্যাচেও সেই নিয়ম কার্যকর হবে বলেই সূত্রের দাবি। এদিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। তিনি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অন্তত ৫ ওভারের ম্যাচ করানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি। তবে, রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। মাঠের মধ্যে দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যায় যে দুই হাতের মধ্যে একে অপরকে দেখতে পাওয়াটা দুস্কর হয়ে ওঠে। যার ফলে খেলাটি সম্পূর্ণ বাতিল করতে হয়। সিরিজের শেষ ম্যাচ ১৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে। আপাতত ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। শেষ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ফলাফল।