ভারতের টেনিস আইকন সানিয়া মির্জার (Sania Mirza) প্রাক্তন স্বামী ও পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব মালিক (Shoaib Malik) আবারও আলোচনায়। গত বছরেই বেশ কিছু জল্পনার পর এই জুটির বিচ্ছেদ হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর সানিয়া তাঁর ছেলেকে নিয়ে জীবন কাটালেও শোয়েব তাঁর তৃতীয় বিয়েটি সেরে ফেলেন (Shoaib Malik Marriage)। পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে তৃতীয় বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন শোয়েব। তবে, তৃতীয় বিয়েটিও নাকি ভেস্তে যেতে চলেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের (Social Media) দাবি, তৃতীয় স্ত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, এবং দুজনই নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন।
তৃতীয় ডিভোর্সের পথে শোয়েব মালিক

সূত্র অনুযায়ী, বিয়ের পর থেকে তাদের সম্পর্কে বেশ ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সানা জাভেদের (Sana Jadev) সঙ্গে আকস্মিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। হঠাৎ করেই সানিয়া মির্জা ও মালিকের সম্পর্ক ভেঙে যেতেই সমাজ মাধ্যমে শুরু হলো চর্চা। তবে, সানার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসার পর এক বছরের মধ্যেই সেই সম্পর্কে নাকি ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি ইভেন্টে শোয়েব মালিক ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে। তবে সেখানে সানা জাভেদও মালিকের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু সানাকে মালিকের সাথে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায়নি। ভিডিওটি সমাজ মাধ্যমে এমনভাবে পরিবেশন করা হয়েছে যাতে তাদের সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন (divorce) লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক ভক্তের দাবি, তারা এখন একে অপরকে এড়িয়ে চলছেন।
Read More: আইপিএলের আগেই বদলে যাচ্ছে RCB’র মালিক, কোটি টাকায় অনন্ত আম্বানি নিচ্ছেন কিনে !!
ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে শিরোনামে শোয়েব মালিক

আবার অনেক ভক্তের মতে, এটা হয়তো দাম্পত্য জীবনের ছোটখাটো মনোমালিন্য। এখনও পর্যন্ত শোয়েব মালিক বা সানা জাভেদ – কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। শোয়েব তাঁর প্রথম বিয়েটি ২০০২ সালে আয়েশা সিদ্ধিকি কে বিবাহ করেছিলেন। এরপর ২০১০ সালে সেই বিয়ে ভেঙে যায় এবং সেই বছরেই তিনি দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন সানিয়া মির্জাকে। ২০২৩ সালে ভেঙে যায় সেই বিয়ে এবং ২০২৪ সালে সানা জাবেদকে বিবাহ করেন মালিক। সানিয়ার সঙ্গে শোয়েবের একটি পুত্র সন্তান – ইজহান মির্জা মালিক রয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে আলোচনায় থাকলেও মালিক তাঁর ক্রিকেট জীবনে ৩৫টি টেস্ট, ২৮৭টি ওয়ানডে এবং ১২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে টেস্টে করেছেন ১৮৯৮ রান, ওয়ানডেতে বানিয়েছেন ৭৫৩৪ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে বানিয়েছেন ২৪৩৫ রান। বল হাতে সেভাবে ফলাফল দেখাতে না পারলেও তিনি তিন ফরম্যাটে ২১২টি উইকেট নিয়েছেন।