সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), ভারতের জার্সিতে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন কিং কোহলি। টেস্ট ফরম্যাট থেকে তিনি অবসর নিয়ে তরুণদের জন্য বাড়তি সুযোগ করে দিলেন এই ফরম্যাটে নিজের সেরাটা দেখানোর জন্য। অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার পর বিরাট কোহলি তার ঘরোয়া দলের হয়ে একটি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছিলেন। এমনকি মুম্বাইতে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সাথে তিনি অনিশীলনও করেছিলেন। তবে, কোহলি যে এভাবে এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন তা ভাবতে পারছে না ক্রিকেট ভক্তরা।
অনয়াকে টিপ দিয়েছিলেন বিরাট

কোহলি অবসর নিতেই সঞ্জয় বাঙ্গারের কন্যা অনয়া বাঙ্গার বড় বয়ান দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। সঞ্জয় কন্যা অনয়া তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। হরমোন পরিবর্তনের আগে অনয়া একজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার ছিলেন এবং সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের সাথে প্রশিক্ষণের মুহূর্তগুলি তিনি স্মরণ করেছেন। অনায়া সেই প্রশিক্ষণের সময়ে কিং কোহলির থেকে বেশ কিছু টিপস পেয়েছিলেন। কিভাবে কঠিন সময়ে ও চাপের মুখে বিরাট নিজেকে শান্ত রাখেন এবং ম্যাচ জেতান সেবিষয়ে অনয়ার কাছে খোলসা করেছিলেন।
Read More: Virat Kohli: “ওকে বাদ দেওয়া হয়েছে…” বিরাট কোহলির অবসর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মহম্মদ কাইফের !!
অনয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “হ্যাঁ, আমি তার সাথে একাধিকবার দেখা করেছি এবং তার সাথে অনুশীলনও করেছি। তিনি আমার বাবার সাথেও অনুশীলন করেছেন। তিনি আমাকে কিছু টিপস দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে ব্যাটিং করতে দেখেছেন, এবং আমি তাকে কাছ থেকে ব্যাট করতে দেখারও সুযোগ পেয়েছি। আমি একবার তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে চাপ কীভাবে সামলাতে পারেন। তিনি আমাকে বলেছিল যে তিনি এমন এক পর্যায়ে অনুশীলন করে যেখানে তিনি তার শক্তিমত্তা পুরোপুরি বোঝেন এবং সেগুলিতেই বিশ্বাস করেন।”
ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন শেষ অনয়ার

পাশাপাশি বিরাট যে নিজের খেলা নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী সেটাও জানান তিনি। তিনি বলেন, “তিনি জানেন মাঠে কখন কি করতে হবে বা কি হতে পারে। তিনি কেবল তাতেই বিশ্বাস করেন। সবথেকে বড় কথাটি তিনি আমায় বলেন যেটি হলো, যদি একবার নিজেকে সত্যিকারের অর্থে চিনে নেওয়া যায় তাহলে বাঁকি সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।” যদিও বিরাটের থেকে টিপস নিয়েও তা কাজে লাগাতে পারবেন না অনয়া, কাউন্টি ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা থাকলেও সেটি থেকে বিরত থাকবেন তিনি। কারণ, কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনেই ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতিযোগিতা মূলক খেলা থেকে নিষিদ্ধ করেছে।