দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে ধারাবাহিকভাবে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরও আইপিএলের মঞ্চে দুরন্ত পারফর্মেন্স করে ভক্তদের মন জয় করে নেন। সম্প্রতি তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। এরপরই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জীবনের অজানা গল্প সামনে তুলে আনছেন। প্রথম যখন জাতীয় দলে প্রবেশ করেন তখন সতীর্থদের সঙ্গে তার একাধিক মজার ঘটনা এবার প্রকাশ করলেন। শচীন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) সঙ্গে এই স্পিনারের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ নিয়েও নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন।
Read More: এশিয়া কাপের আগেই গুরুতর আহত তারকা ওপেনার, ভারতীয় শিবিরে চিন্তার ভাঁজ !!
সতীর্থদের সঙ্গে মজা-

২০০৩ সালে বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের হয়ে একদিনের দলে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। সেই সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)। এরপর এই অভিজ্ঞ স্পিনার মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni), বিরাট কোহলি (Virat Kohli) থেকে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) পর্যন্ত অধিনায়ককে সামনে থেকে দেখেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার পর এবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার প্রথম দিনগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন অমিত মিশ্র (Amit Mishra)।
তিনি বলেন সেই সময় তার পেসার জাভাগাল শ্রীনাথের (Javagal Srinath) সঙ্গে তার মজার কথপকথন হয়েছিল। ড্রেসিংরুমে এই স্পিনারকে দেখে দেশি ছেলে বলেও উল্লেখ করেছিলেন। অমিত মিশ্র (Amit Mishra) এই বিষয়ে বলেন, “প্রথম দিকে শ্রীনাথ আমায় খুব সাহায্য করেছিলেন। মনে হচ্ছে যখন আমি প্রথম জাতীয় দলে প্রবেশ করি তখন তিনি আমার অস্পষ্ট হিন্দিতে বলেছিলেন দেশি ছেলেটি চলে এসেছে, আমাদের জন্য কিছু নিয়ে এসেছো, ঘি বা অন্যকিছু?”
শচীনের সঙ্গে পার্টনারশিপ-

২০১১ সালে ইংল্যান্ড (IND vs ENG) সফরে গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। তিনি এই সিরিজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শচীন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) সঙ্গে ৮৪ রানের খেলেছিলেন তিনি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব এখনও ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অমিত মিশ্র (Amit Mishra) বলেন, “প্রথম দিন কেটে গেল আমি আউট ছিলাম না। আমি শচীন (Sachin Tendulkar) পাজির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেমনভাবে ব্যাটিং করবো।
তিনি আমায় বলেছিলেন শুধু স্বাভাবিকভাবে খেলো। সাধারণ শট খেলো। কে বল করছে, বল কতটা সুইং করছে তা নিয়ে বেশি চিন্তা করো না। খালি এমনভাবে খেলো যেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছো। দুপুরের খাওয়ার আগে অথবা পরে তিনি আমায় বলেছিলেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে শট না খেলে সিঙ্গেল এবং ডাবলস নিতে। জুটি গড়ে উঠতে শুরু করে এবং মাঝে-মাঝে তার নির্দেশনা আমায় সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল।”