ক্রিকেটার টুইট করিয়া প্রমাণ করিলেন তিনি মরেন নাই! 1

 

‘উমর আকমল টুইট করিয়া প্রমান করিলেন তিনি মরেন নাই’। পাকিস্থানী ক্রিকেটারের মৃত্যু ঘিরে দিনভর চলা নাটককে রবীন্দ্রনাথের গল্পের লাইনকে সামান্য বদলে নিয়ে এভাবেই বর্ণনা করা যেতে পারে। উমর আকমলের মৃত্যু হয়েছে! এমন সংবাদে দিনভর উত্তাল পাকিস্থান। আর শেষমেশ নিজের মৃত্যু সংবাদ ভুল প্রমান করতে আসরে নামতে হল এই তারকা ক্রিকেটারকেই। পাকিস্থানী ক্রিকেটার উমর আকমলসহ এমনই এক নজির বিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন গোটা পাকিস্থানের মানুষ। রাজনৈতিক কারণে পাকিস্থানের আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের ইস্তফা চেয়ে ইসলামাবাদে ধর্নায় বসে পাকিস্থানের একটি ধর্মীয় সংগঠনের কর্মীরা। সেই ধর্না রীতিমতো বিক্ষোভের আকার নেয়। পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী সেই বিক্ষোভ সামলাতে গেলে দফায় দফায় খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় ওই ধর্মীয় সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে। পাকিস্থানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ওই ধর্মীয় সংগঠনের কর্মী এবং সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬ জন মৃত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় কয়েকশো মানুষ।

ক্রিকেটার টুইট করিয়া প্রমাণ করিলেন তিনি মরেন নাই! 2

এরপরই সোস্যাল মিডিয়ায় আকমলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। টুইটারে ‘কুড়ি পাঞ্জাবন’ নামে একজন আকমলের মত দেখতে একজনের ছবি পোস্ট করে জানায় ওই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে আকমলের। ওই মহিলার পোষ্ট করা ছবিতে দেখা যায় আকমলের মত দেখতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় শুরে থাকতে। এরপরই সোস্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি ভাইরাল হয়ে আকমলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবরের সত্যটা জাচাই না করেই এই পাক তারকা ক্রিকেটারের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে দেয়। শেষমেশ নিজের ভুয়ো মৃত্যুর খবরকে নাকচ করতে আসরে নামতে হয় খোদ আকমলকেই। নিজের ভুয়ো মৃত্যুর খবরকে খন্ডন করে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জোরা টুইট করেন আকমল। প্রথমে একটি লিখিত টুইট ও পরে একটি ভিডিও বার্তা করেন আকমল।

ক্রিকেটার টুইট করিয়া প্রমাণ করিলেন তিনি মরেন নাই! 3

প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “আল্লার আশীর্বাদে আমি লাহৌরে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে আছি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশত খবরগুলি ভুয়ো। ঈশ্বরের দয়ায়, দ্রুতই জাতীয় ২০-২০ কাপের সেমিফাইনালে যোগ দেব”। পরে ভিডিওতেও একই কথা পোস্ট করেন আকমল। পুরো ঘটনাতে পাকিস্থান জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *