Shahid Afridi: গত ২২ তারিখ বুলেটের শব্দে কেঁপে উঠেছিলো পহলগাঁও’র বৈসরণ উপত্যকা। সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করে ২৬ জন নিরীহ ভারতবাসীকে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন হিন্দু পর্যটক। স্থানীয় টাট্টুওয়ালা সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ জঙ্গিদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনিও। নৃশংস এই হত্যালীলা এখনও শোকে ডুবিয়ে রেখেছে ভারতকে। তদন্তে নেমে পড়শি দেশ পাকিস্তানের যোগসাজশ খুঁজে পেয়েছে এনআইএ। প্রত্যাঘাত করবে ভারত, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। ফেরত পাঠানো হয়েছে ভারতে থাকা পাক নাগরিকদের। পহলগাঁও’র ঘটনার পর ভারত-পাক সীমান্তে যখন উত্তেজনা, তখন আগুনে ঘি ঢেলেছে শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) মন্তব্য। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা তো দূর অস্ত, বরং ভারতের দিকেই তোপ দেগেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
Read More: বৃথা গেলো শতরান, বয়স ভাঁড়িয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ এই ক্রিকেট তারকা !!
শিখর ধাওয়ানের সাথে বাগ্যুদ্ধে আফ্রিদি-

কাশ্মীর প্রসঙ্গে এর আগেও নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। পহলগাঁও’র ঘটনায় পাক জঙ্গিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছিলেন, “প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। ওদের দেশে একটা পটকা ফাটলেও দোষারোপ করা হয় পাকিস্তানকে।” ভারতীয় সেনার গাফিলতির কারণেই বৈসরণ উপত্যকায় প্রাণ হারাতে হয়েছে নিরীহ পর্যটকদের, ইঙ্গিত করেছিলেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যেভাবে গোটা ঘটনাকে তুলে ধরছে, সমালোচনা করেন তারও। তাঁর অসংবেদনশীন মন্তব্যে মেজাজ হারান টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “আমরা কার্গিলে আপনাদের হারিয়েছি। আর কতটা নীচে নামবেন? অর্থহীন মন্তব্য করার বদলে নিজের দেশের উন্নতির জন্য বুদ্ধি খরচ করুন। ভারতীয় সেনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। ভারত মাতা কি জয়।”
ট্যুইটারেই পালটা দিয়েছেন আফ্রিদি (Shahid Afridi)। তিনি লেখেন, “জেতা-হারা ছাড়ো। এসো তোমায় চা খাওয়াই শিখর।” আপাত নিরীহ এই ট্যুইটের নেপথ্যে অবশ্য লুকিয়ে রয়েছে খোঁচা দেওয়ার মানসিকতাই। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের আকাশে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাক বিমানবাহিনীর একটি এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর মিগ-২১ বাইসন ফাইটার জেট’টিও। তাঁর প্যারাশুট ‘ল্যান্ড’ করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হোরান গ্রামে। ভারতের কূটনৈতিক চাপে ১ মার্চ অভিনন্দনকে (Avinandan Vart ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলো পাক সেনা। পিঠ বাঁচাতে এফ-১৬ ধ্বংসের বিষয়টিও স্বীকার করে নি তারা। পাক সেনাবাহিনীর হাতে ‘বন্দি’ থাকাকালীন অভিনন্দনের চা পানের একটি ভিডিও সামনে এসেছিলো। সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন আফ্রিদি।
দেখুন আফ্রিদি’র ট্যুইট’টি-
Chouro jeet haar ko , aao tumhey chae pilata hun Shikhar . #FantasticTea https://t.co/ilEOepsVm0 pic.twitter.com/T45O8o2XUR
— Shahid Afridi (@SAfridiOfficial) April 29, 2025
আফ্রিদিকে আক্রমণ দানিশ কানেরিয়ার-

আফ্রিদি’র (Shahid Afridi) দ্বিতীয় মন্তব্যের কোনো জবাব এখনও অবধি দেন নি শিখর ধাওয়ান। তবে প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ককে আক্রমণ করেছেন তাঁরই এক সময়ের সতীর্থ দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের সফলতম স্পিনার গতকাল ট্যুইটারে লিখেছেন, “ও (আফ্রিদি) বরাবই কট্টরপন্থী মতবাদকে সমর্থন যুগিয়ে এসেছে। আমার মতে ওকে ভারতীয় টেলিভিশন বা অন্য কোনো মঞ্চ দেওয়া উচিৎ নয়। ও আমায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলো। আমি হিন্দু বলে আমার সাথে বসে খেতে অবধি চায় নি। যেটা আমার কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক ছিলো।” আফ্রিদির ট্যুইটটিকেও রিট্যুইট করেন কানেরিয়া। ক্যাপশনে লেখেন, “যে হিন্দুদের সাথে বসে খেতে রাজী ছিলো না সে এখন অন্য একজন (হিন্দুকে) চা-এর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এটা খুবই হাস্যকর বিষয়। জানতাম না যে চা এর সাথে ভণ্ডামিও আসে।”
দেখুন কানেরিয়ার ট্যুইট-
Funny how someone who refuses to sit or eat with Hindus is suddenly inviting one for tea—didn’t realize hypocrisy came with a tea service. https://t.co/64jmu9InxI
— Danish Kaneria (@DanishKaneria61) April 29, 2025