ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েও এখনও ভারতীয় জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করার সুযোগ পাননি অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran)। বহু বছর ধরে রঞ্জি ট্রফি ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে প্রচুর রান সংগ্রহ করলেও, ভারতের জার্সিতে নাম লেখানো তার কাছে এখনো এক অপূর্ণ স্বপ্ন। এই বছর অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ গুলিতে ঈশ্বরণকে ভারতীয় স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সুযোগ পাননি মাঠে নামার। বিপরীতে, সেই সিরিজেই সাই সুদর্শন (Sai Sudharsan) ও অংশুল কাম্বোজ (Anshul Kamboj) নিজেদের টেস্ট অভিষেক সম্পন্ন করেন, এবং দীর্ঘ বিরতির পর দলে ফিরে আসেন করুণ নায়ার (Karun Nair)। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঈশ্বরণ হতাশ ছিলেন, কারণ বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্তটি হাতছাড়া হয়ে যায়।
অভিষেক করার সুযোগ হয়নি অভিমন্যুর

সিরিজ শেষে, ঈশ্বরণের বাবা খোলাখুলিভাবে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন তার ছেলেকে সুযোগ না দিয়ে করুণ নায়ারকে (Karun Nair) দলে নেওয়া হল। শুধু তিনিই নন, সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক সমর্থক গম্ভীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, দাবি করেন যে কোচ নাকি ঈশ্বরণের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তবে, এবার সেই চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিমন্যু ঈশ্বরণ নিজেই গৌতম গম্ভীরের প্রশংসা করেছেন। মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাঁর (গম্ভীর) নির্দেশনা আমার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছেন এবং একজন সফল ক্রিকেটার। আমার মতো সেও একজন ওপেনিং ব্যাটার ছিলেন। আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি, এবং আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই কথোপকথনগুলো আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।”
Read More: হেড কোচ রূপে যুবরাজ সিংয়ের এন্ট্রি, তুলে নিচ্ছেন LSG দলের গুরুদায়িত্ব !!
গম্ভীরকে নিয়ে বড় বয়ান অভিমন্যু ঈশ্বরণের

ঈশ্বরণের এই মন্তব্য অনেককেই অবাক করেছে, কারণ যাঁর বিরুদ্ধে এতদিন সমালোচনা হচ্ছিল, তাকেই এখন প্রশংসা করছেন তিনি। উল্লেখযোগ্যভাবে, গৌতম গম্ভীর ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে পরিচিত। ২০০৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করে তিনি দেশের হয়ে ২৪২টি ম্যাচে ১০,৩২৪ রান সংগ্রহ করেছেন, গড়ে প্রায় ৩৮.৯৫। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০টি সেঞ্চুরি এবং ৬৩টি হাফ সেঞ্চুরি। বিশেষ করে, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তার ৯৭ রানের ইনিংস এখনও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে অমলিন। গম্ভীরের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণ এখন দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে যার মধ্যে অভিমন্যু ঈশ্বরণও অন্যতম।