বিশ্ব ক্রিকেটে আর এক প্রভাবশালী ক্রিকেটার হলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স (AB De Villiers)। তারকা ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকার অংশ হলেও ভারতের মাটিতে খুব পরিচিত। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের খেলার সুবাদে ভারতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। অল্প বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আলবিদা ঘোষণা করেছিলেন এবি। নিজের ছেলের সাথে খেলা করতে গিয়ে চোখে চোট পেয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। দৃষ্টিশক্তি কমার পর পেশাগত ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি। ২০২১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে শেষবার দেখা গিয়েছিল এবিকে। এবার, দীর্ঘ সময় বাদে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবি।
WCL-এ মঞ্চ মাতালেন এবি

ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস (WCL) ম্যাচে এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪১ বছর বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে এসে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। এর আগে, ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৩০ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৫১ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি, যা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নদের ১০ উইকেটের জয়ের পথ তৈরি করে। এদিন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ডি ভিলিয়ার্স এবং হাশিম আমলা ইংল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান। ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ৪১ বলে তার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৫১ বলে ১৫টি চার এবং ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এবি।
সেঞ্চুরি হাঁকালেন ডি ভিলিয়ার্স

বাউন্ডারির বিচারে ডি ভিলিয়ার্স (AB De Villiers) ২২ বলে ১০২ রান বানিয়েছেন। এবির দুরন্ত ব্যাটিংয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড দল। উল্লেখ্য, এদিন টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নরা ৬ উইকেটে ১৫২ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। ফিল মুস্তার্ড সর্বাধিক ৩৯ রান বানান। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ইনিংস শুরু করে হাশিম আমলা এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স ব্যাট করতে নেমে। আমলা যেখানে ২৫ বলে ২৯* রান করেছিলেন। তাছাড়া, এই টুর্নামেন্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার বেন ডাঙ্কের দখলে, যিনি মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ডাঙ্ক এবং সারেল এরউইয়ের পরে ডি ভিলিয়ার্স এই লিগে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি, তিনি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেঞ্চুরি করা সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ও হয়ে উঠলেন।