রাজস্থান রয়্যালসের সাথে সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক শেষের দিকে। ২০২৫ সালের আইপিএল মৌসুমে শেষবার হয়তো রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে খেলতে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। আর তাকে এই ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে দেখতে পাওয়া যাবে না। সঞ্জু এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ফ্রাঞ্চাইজি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রয়াস করেছেন। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সূত্রের দাবি, স্যামসন জয়পুর-ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অন্যত্র সুযোগ অন্বেষণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, যা প্রায় দশকের দীর্ঘ আইপিএল যাত্রার সম্ভাব্য সমাপ্তি।
চেন্নাই যাচ্ছে না সঞ্জু

যদিও স্যামসনের চেন্নাই সুপার কিংসে যাওয়ার একটি জল্পনা চলছে। আসলে, সঞ্জুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমএলসি লিগে সিএসকে দলের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সাথে সাক্ষাৎকার করেছিলেন। যার পরেই সঞ্জুর চেন্নাই দলে এন্ট্রি নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে, ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়া (Aakash Chopra) বিশ্বাস করেন যে রাজস্থানের অধিনায়ককে পেতে আরও অনেক বেশি মরিয়া রয়েছে চেন্নাই ব্যাতিত আরেকটি দল। সঞ্জু মন্তব্য করে বলেছেন, “আমার মনে প্রথম যে নামটি উঠে আসছে সেটা সিএসকে নয়, সেটা হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর সবথেকে মোরিয়া দল সঞ্জুকে পেতে।”
Read More: গুজরাট ছাড়ছেন শুভমান গিল, 2026 IPL’এর আগেই নিচ্ছেন বড়ো সিদ্ধান্ত !!
পুরানো দলে ফিরেছেন স্যামসন

আকাশ আরও বলেছেন, “কেকেআরের কোনো ভারতীয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নেই। এটাই তাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। দ্বিতীয়ত তিনি একজন অধিনায়কও। তিনি যদি দলের অধিনায়ক হন তাহলে সেটা দারুন বাপ্যার হবে। আমি অস্বীকার করছি না যে অজিঙ্কা রাহানে ভালো অধিনায়কত্ব করেছেন এবং রানও করেছেন।” আকাশ এটা বিশ্বাস করেন যে দলের ব্যাটিং নমনীয়তা এবং উইকেটরক্ষক স্লটে গভীরতার অভাব রয়েছে – যা স্যামসন তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিশালী করতে পারেন। তিনি মন্তব্য করে আরও বলেছেন, “অজিঙ্কা রাহানে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে – হয় সে ওপেন করে, না হয় ব্যাটিং অর্ডার কিছুটা পরিবর্তন করে সে নামে। কেকেআরের কাছে একজন খেলোয়াড় আছে যাকে তারা ছেড়ে দিতে পারে। তিনি হলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাকে ছেড়ে দিয়ে ২৪ কোটি টাকা পেতে পারে কেকেআর।” ৩০ বছর বয়সী স্যামসন ২০১২ সালে কেকেআরের সাথে আইপিএল যাত্রা শুরু করেন এবং রাজস্থান রয়্যালসের সাথেই ক্যারিয়ারে উন্নতি করেছেন। কিন্তু ২০২৫ সালের মেগা নিলামের আগে আরআরের স্কোয়াড স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তনের কারণে হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।