এশিয়াকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের লড়াই শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে হয়েছে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের দল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রুপ বির এই ম্যাচ বাংলাদেশের দল ১৩৭ রানে জিতে নিয়েছে। গতকাল পুরো ম্যাচের চলাকালীণ বেশ কিছু বিষয় চর্চায় ছিল। আসুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।
৫—মুশফিকুর রহিম আর মহম্মদ মিথুনের পার্টনারশিপ
বাংলাদেশের দল প্রথম ওভারেই নিজেদের দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপরই দ্রুত তামিম ইকবালও রিটায়ার হার্ট হয়ে যান।তিন ব্যাটসম্যানের প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিম আর মহম্মদ মিথুন শতরানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সমস্যা থেকে বের করেন। দুজনেই তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩২ রান করেন। মিথুনকে আউট করে মালিঙ্গা এই পার্টনারশিপ ভাঙেন।
৪—শ্রীলঙ্কা ফেলে ক্যাচ
শ্রীলঙ্কার দল প্রথম ১০ ওভারেই দুটি ক্যাচ ফেলে দেয়। প্রথম অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ মালিঙ্গার বলে মিথুনের কাজ ফেলে দেন। এরপর দশম ওভারে দিলরুবান পেরেরা মুশফিকুর রহিমের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। শ্রীলঙ্কান দল এখানেই থামে নি। ধনঞ্জয় ডি সিলভা ৮৫ রানে খেলা রহিমের আরও একটি সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন।
৩—শ্রীলঙ্কাণ ব্যাটসম্যানদের খারাপ ফর্ম জারি
২০১৫ বিশ্বকাপে কুমার সাঙ্গাকারা আর মাহেলা জয়বর্ধনের অবসর নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং যথেষ্ট নীচের দিকে নেমেছে। এক সময় দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্দন্ত দলগুলির মধ্যে শামিল শ্রীলঙ্কা দল লাগাতার ম্যাচ হেরে চলেছে। এই ম্যাচে দলের কোনো ব্যাটসম্যানই ক্রিজে টিকে খেলতে পারেন নি। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তারা এক এক রান বানানোর জন্য লড়াই করতে থাকে। ৫ বার এশিয়াকাপের বিজয়ী দলের এমন প্রদর্শন সকলেরই বোঝার বাইরে।
২—এক হাতে তামিম ইকবাল করেন ব্যাটিং
এই ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল চোট লাগার কারণে মাঠ ছেড়ে চলে যান। স্ক্যান হওয়র পর জানা যায় তার হাতে ফ্র্যাকচার হয়েছে, এবং তিনি এখন পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না। এরপরও দলের ৮জন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তিনি মাঠে নামেন, তিনি এক হাতে ব্যাট করে আর ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নেন।
১- লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার জোরে বোলার লাসিথ মালিঙ্গা এক বছর পর ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। লাগাতার দল থেকে বাইরে থাকা মালিঙ্গা প্রথম ওভারেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান লিটন দাস আর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আউট করে নিজের প্রত্যাবর্তনের বিউগুল বাজিয়ে দেন। এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলেও মালিঙ্গা মুশফিকুর রহিম আর মহম্মদ মিথুনের পার্টনারশিপ ভাঙেন। তিনি ম্যাচে ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।