আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী দল হলো চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। দ্বিতীয় দল হিসাবে ৫টি আইপিএল শিরোপা জয় করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ২০২৩ সালের আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সকে পরাস্ত করে এমএস ধোনির নেতৃত্বে পঞ্চম শিরোপা জয় করে চেন্নাই। তবে, গত মৌসুমে ‘থালা ধোনি’ ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিয়ে দলের দায়িত্ব তুলে দেয় ঋতুরাজ গাইকোয়ার্ড’এর (Ruturaj Gaikwad) হাতে। গত মৌসুমে প্লে-অফে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই সুপার কিংস। আগামী মৌসুমের জন্য চেন্নাই সুপার কিংস ৫ জন খেলোয়াড়কে রিটেন করেছে। চেন্নাই সুপার কিংস আসন্ন মৌসুমের আগে ঋতুরাজ গাইকোয়ার্ড, রবীন্দ্র জাদেজা, শিবম দুবে, মতিশা পথিরানা ও এমএস ধোনিকে বাছাই করে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
১. মুস্তাফিজুর রহমান
গতবছর আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল হলো চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। আর চেন্নাইতে ঘরের ম্যাচে বিগত কয়েক বছর ধরে ধীরগতির উইকেট লক্ষ করা যাচ্ছে। গত মৌসুমে বাংলাদেশের তারকা প্লেয়ার মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ঠিক তেমনই আসন্ন আইপিএলে ভক্তদের নজর থাকবে মুস্তাফিজুরের উপর। গত মৌসুমে চেন্নাইয়ের জার্সিতে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ২৯ রান দিয়ে সর্বাধিক ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি যেটি ছিল তার সেরা পারফরমেন্স। বাংলাদেশ ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স দেখিয়েছেন মুস্তাফিজুর। আইপিএলে তিনি ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন ও ওভার পিছু ৮.১৪ রান করে দিয়েছেন।
Read More: নেতৃত্বে ফিরছেন শ্রেয়স আইয়ার, মেগা নিলামের আগেই সামনে চমকপ্রদ তথ্য !!
২. কুইন্টন ডি কক
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ওপেনার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক (Quinton De Kock)। বামহাতি ওপেনার ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপশি তিনি উইকেট রক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। কুইন্টন ডি কক তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে বিদায় ঘোষণা করেছেন এবং এখন তিনি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের একজন নিয়মিত সদস্য ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ২০২২ সালে মেগা নিলামে ডি কককে কিনেছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস (LSG)। গত দুই মরশুমে ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। কারণে তাকে রিটেন করেনি LSG। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ডি কককে এবার চেন্নাই সুপার কিংস তাদের দলে সামিল করতে চাইছে। ডি কক তার আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ১০৭ টি ম্যাচ খেলেছে ৩১.২৬ গড়ে এবং ১৩৪.২৩ স্ট্রাইক রেটে ৩১৫৭ রান বানিয়েছদন।
৩. জস হ্যাজেলউড
চেন্নাই সুপার কিংস সবসময় তাদের পুরানো খেলোয়াড়দের উপর সহায় থেকেছে। আসন্ন আইপিএলে জস হ্যাজেলউডকে আবার ফিরিয়ে আনতে চাইবে চেন্নাই সুপার কিংস। ২০২০ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংস দলের হয়ে হ্যাজেলউড খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি ২৭টি আইপিএল ম্যাচে ওভার পিছু ৮.০৬ রান করে হ্যাজেলউড ৩৫টি উইকেট নিয়েছেন। এই ফরম্যাটের অন্যতম সফল বোলার হলেন তিনি এবং চেন্নাইয়ের পিচে তিনি খুবই সফল হবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এবং ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হ্যাজেলউড খুবই অভিজ্ঞ বোলার। তিনি চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজির আবার অঙ্গ হলে চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজির বেশ সুবিধাই হবে।
৪. নূর আহমেদ
তালিকায় চতুর্থ নাম্বারে রয়েছেন আফগানিস্তান দলের তারকা স্পিনার নূর আহমেদ (Noor Ahmed)। আফগান দলের তারকা স্পিনার গত দুই মৌসুমে গুজরাত টাইটান্স দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২৩ সালে নূর গুজরাত দলে যোগদান করেন এবং ১৩ ম্যাচে তিনি ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন এবং ২০২৩ সালের আইপিএলে ১০ ম্যাচে ৮ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। নূর চলতি সময়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন। চেন্নাইতে ঘূর্ণি উইকেটে নূর আহমেদের বল বেশি কার্যকরী হবে এবং চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজি তাদের দলে এই প্রতিভাবান স্পিনারকে যোগ করতে চাইবে।
৫. নেহাল ওয়াধেরা
নতুন তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে মিডল অর্ডারের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হলেন নেহাল ওয়াধেরা। গত দুই মরশুমে নেহাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলেছিলেন, তবে আসন্ন আইপিএলের আগে নেহালকে ধরে রাখেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গত মৌসুমে অম্বতি রাইডুর অনুপস্থিতি বোধ টের পেয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। আসন্ন মৌসুমে চেন্নাই তাদের মিডিল অর্ডারে নেহালকে শামিল করতে পারে ফ্রাঞ্চাইজি। গত দুই বছর আইপিএলে ২০ ম্যাচে ২৩.৩৩ গড়ে এবং ১৪০ স্ট্রাইক রেটে বানিয়েছেন ৩৫০ রান।