প্রতিটা ক্রিকেটার চায় দীর্ঘ্য সময় ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পারফর্ম করতে কিন্তু তাদের খারাপ পারফর্মেন্স এবং চোটের কারণে তারা জাতীয় দলের বাইরে চলে গিয়েছেন। আবার ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ক্রিকেটারদের দেখা গেছে যারা শুদু মাত্র একটি ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এছাড়াও এমন ক্রিকেটারদের আমরা দেখেছি যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক করার পর থেকে সেই ভাবে দলে সুযোগ না পেলেও পরবর্তীতে দলের প্রধান খেলোয়াড় হিসাবে বহু সময় ধরে আন্তর্জাতিক মুছে ক্রিকেটীয় পারফর্মেন্স করে গিয়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বহু ক্রিকেটারদের দেখা গেছে যারা খুব অল্প বয়েসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক করেছেন ঠিক তেমনি এমন ক্রিকেটারদেরকেও দেখা গেছে যারা বেশি বয়েসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।
বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২০০৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিবসীয় ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক করেছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ পাননি কারণ তিনি তখন দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং একজন অফ স্পিন বোলার হিসাবে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। রোহিত তার কেরিয়ারের প্রথম দিকে সেই ভাবে পারফর্মেন্স না করতে পারার জন্য বেশ কয়েকবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কঠোর অনুশীলন করে আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে তিনি ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং বিশ্ব ক্রিকেটের একজন সফল বিধংসী ওপেনার হিসাবে পরিচিত। রোহিত শর্মা হলেন একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি একদিবসীয় ফরম্যাটে ৩বার ২০০ রানের ইনিংস পার করেছেন। আমরা এখানে এমন ৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা করবো যারা রোহিত শর্মার পরে ভারতীয় দলের হয়ে একদিবসীয় ফরমেটে অভিষেক করেছিল কিন্তু তারা সেই ভাবে নিজেদের না মেলে ধরতে পারার কারণে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন।
ইউসুফ পাঠান
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম একজন অলরাউন্ডার হলেন ইউসুফ পাঠান যিনি বিশ্ব ক্রিকেটে পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি ভারতীয় দলের হয়ে একদিবসীয় ফরম্যাটে অভিষেক করেছিলেন। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ভারতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তার খারাপ পাফর্মেন্সের কারণে তিনি দল থেকে বাদ পড়েন এবং গত বছর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ইউসুফ পাঠান তার একদিবসীয় কেরিয়ারে মোট ৫৭টি ম্যাচ খেলে ৮১৯রান এবং ৩৩টি উইকেট নিয়েছিলেন।