বিসিসিআইয়ের আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের নিয়মের মোতাবেক কোনো দলই নিজেদের প্রথম একাদশে ৪ জনের বেশি বিদেশী খেলোয়াড় শামিল করতে পারবে না। আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি্গুলি দলে সর্বোচ্চ ৮জন বিদেশী খেলোয়াড়কে রাখতে পারে, কিন্তু প্রথম একাদশে স্রেফ ৪জনই খেলতে পারে।
মুম্বাই খেলেছে ৫জন বিদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আইপিএল ইতিহাসের একমাত্র দল যারা নিজেদের প্রথম একাদশে ৫জন বিদেশী খেলোয়াড়কে শামিল করেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স স্রেফ একবারই নয় বরং বেশকিছু ম্যাচে ৫জন বিদেশী খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে শামিল করেছে। তবে আইপিএলের টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ৫জন বিদেশী খেলোয়াড় একসঙ্গে খেলেননি, কিন্তু আইপিএল দলে ৫জন বিদেশী খেলোয়াড় খেলেছেন।
২০১১র চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ লীগে শামিল ছিলেন ৫জন বিদেশী
২০১১র চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ লীগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের প্রথম একাদশে মোট ৫জন বিদেশী খেলোয়াড়কে শামিল করেছিল। আসলে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১য় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিদ্বন্দ্বীতা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর সঙ্গে হয়েছিল। এই রোমাঞ্চকর ম্যাচ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শেষ বলে ১ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল। এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মোট ৫জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার এডিয়েন উইজার্ড আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ড, নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন, ওয়েস্টইন্ডিজের কায়রন পোলার্ড আর শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা একসঙ্গে প্রথম একাদশে খেলেছিলেন।
নিয়মিত খেলোয়াড়দের আহত হওয়ার কারণে পেয়েছিল অনুমতি
এরপর ২ অক্টোবরও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আর নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলা হয়েছিল আর এই ৫জনই আবারও প্রথম একাদশে ছিলেন। এই টুর্নামেন্টের আয়োজন বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আর ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে করত। এই অবস্থায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজকদের কাছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫জন বিদেশী খেলোয়াড়কে দলে শামিল করার অনুমতি নিয়েছিল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে তাদের খেলোয়াড়দের নিয়মিত আহত হওয়ার কারণে এই অনুমতি নিতে হয়েছিল আর তাদের এই আবেদনকে আয়োজকরা মেনেও নিয়েছিলেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগও জিতেছিল।