ইংল্যান্ডের সাথে চলমান টেস্ট সিরিজের চতুর্থ টেস্টে জো রুটকে আউট করে ভারতীয় পেসার হিসেবে কাপিল দেব ও জহির খানের পর তৃতীয় পেসার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইশান্ত শর্মা।
এবার দেখা যাক অভিষেকের পর সবচাইতে কম ইনিংস খেলে ২৫০ উইকেটের ক্লাবে যোগ দেওয়া ৫ জন বোলারের তালিকা।
৫. ওয়াকার ইউনিস (৫১ ইনিংস)
পাকিস্তানের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় থাকা এই পেসার ২৫০ উইকেট নিতে খেলেছেন ৫১টি টেস্ট ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৮ সালে জর্জ পার্ক স্টেডিয়ামে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন ডানহাতি এই পেসার।
পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হচ্ছেন ইউনিস। ২০১৩ সালে আইসিসি তাঁকে ‘হল অব ফেইম’ ঘোষণা করে।
৪. অ্যালান ডোনাল্ড (৫০ ইনিংস)
দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যালান ডোনাল্ড তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫০ উইকেটের কোটা পূরণ করতে খেলেছেন ৫০টি টেস্ট ইনিংস। ১৯৯৮ সালে উইন্দিজের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে এই কোটা পূরণ করেন তিনি।
টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি ৩৩০টি উইকেট তাঁর নামের পাশে লিখিয়েছেন। যা এসেছে ইনিংসে ২০ বার ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে।
৩. ডেল স্টেইন (৪৯ ইনিংস)
কেউ তাঁকে বলে থাকে ‘স্টেইন গান’ কেউ আবার বলেন একুশ শতকের সেরা পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ভরসার অন্য নাম স্টেইন তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৯ ইনিংস খেলে ২৫০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১১ সালে সুপার স্পোর্টস পার্কে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। বর্তমানে ৪২১ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শন পোলকের পাশে নাম রয়েছে স্টেইনের।
২. ডেনিস লিলি (৪৮ ইনিংস)
অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার তৎকালীন বোলারদের মধ্যে সেরাদের তালিকায় ছিলেন। তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৫০ উইকেটের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৮ ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে মেলবোর্নে এই কীর্তি গড়েন অজি পেসার। অস্ট্রেলিয়ার কোনো বোলার হিসেবে ৩৫৫টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ডেনিস। ২০০৯ সালে আইসিসি তাঁকে ‘হল অব ফেইম’ ঘোষণা করে।
১. রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৪৫ ইনিংস)
সবচেয়ে কম মাত্র ৪৫ ইনিংস খেলে টেস্ট ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট শিকারির তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বল করার সময় এই মাইলফলকের দেখা পান অশ্বিন। বর্তমানেও ভারত দলের হয়ে মাঠ মাতানো এই স্পিনার ২০১৬ সালে আইসিসির সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন ও সেরা টেস্ট খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।