সবে মাত্র এসেছে ২০১৯ সাল, গত হয়েছে ২০১৮। কথায় যেমন বলে, ‘কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ’ তেমনি পুরো বছর জুড়েই ক্রিকেটে ছিল এমন উত্থান-পতন। কেউ কেউ রেকর্ড গড়ে গেছেন একের পর এক আবার কেউ কেউ হতাশায় দিনানিপাত করেছেন পুরো বছরেই।
হতাশার চাদরে ঘেরা ছিল যাদের ২০১৮ সাল তাঁদের মধ্য থেকে ৫ জন ক্রিকেটারের তালিকা দেখে নেওয়া যাক।
৫। কুইন্টন ডি কক
দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৫০ এর অধিক গড় নিয়ে ব্যাট করলেও ২০১৮ সালে ১০ ম্যাচে ৫০ ছাড়ানো ইনিংস ছিল মাত্র দুইটি। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে গত আসরে রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে মাঠে নামলেও আগামী আসরের জন্য তাঁকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আর নিলামের আগ মুহূর্তে তাঁকে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
৪। হাসান আলি
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের হয়ে মহা মূল্যবান অবদান রাখেন ডানহাতি পেসার হাসান আলি। তবে ২০১৮ সালে ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১৯টি। অন্যদিকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচে ১১ ইনিংস বল করে পকেটে পুরেছেন ২২ উইকেট।
৩। হাশিম আমলা
দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হাসিম আমলা ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে ১১ ইনিংস ব্যাট করে মাত্র রান করেছেন ২৮.৬৩ গড়ে। যেখানে অর্ধশতক হাঁকানো ইনিংস ছিল সাকুল্যে দুইটি। অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-২০ পুরো বছরে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ১টি।
২। লোকেশ রাহুল
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত করা লোকেশ রাহুল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশপাশি টি-২০তেও হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে ২০১৮ সালে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। ২০১৮ সালে পুরো বছর জুড়ে টেস্টে ২২ ইনিংস ব্যাট করলেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে কেবল মাত্র ১টি সেঞ্চুরি এবং ১টি ফিফটি। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৩ ম্যাচ মাঠে নামার সুযোগ পেলেও সেখানে রান করেছেন মাত্র ৬৯। অন্যদিকে টি-২০ ক্রিকেটে প্রায় ৩৬ গড়ে একটি সেঞ্চুরি এবং একটি ফিফটিও হাঁকিয়েছেন তিনি।
১। মহেন্দ্র সিং ধোনি
২০১৭ সালে ওয়ানডেতে ৬০ এর বেশি গড় নিয়ে ব্যাট করা মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১৮ সালে এই ফরম্যাটে ব্যাট করেছেন মাত্র ২৫ গড়ে। যেখানে ফিফটি হাঁকাতে পারেননি একটিও। টি-২০তে পাঁচ ইনিংস ব্যাট করে ৪১ গড়ে রান করেছেন ৩৭ বছর বয়সী ধোনি যেখানে ফিফটিও ছিল একটি।