এশিয়া কাপ ২০২৫–এ (Asia Cup 2025) আফগানিস্তানকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। ২০২৩’এর ওডিআই বিশ্বকাপে মূল প্রত্যাবর্তন হয়েছিল আফগানিস্তান দলের। তারপর ২০২৪’এর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দল সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। এরপর এবারের এশিয়া কাপে আফগান দলের প্রদর্শন ছিল খুবই প্রশ্নদায়ক। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, রহমানউল্লাহ গুরবাজের মতন তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দলটা শক্তিশালী দেখাচ্ছিল। বিশেষ করে আফগান তারকাদের ক্রিকেট বিশ্বে নানান লিগে খেলার যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই অভিজ্ঞতাকে ঘিরেই অনেক প্রত্যাশা ছিল ভক্তদের মধ্যে। ভক্তরা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো আফগানিস্তান এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) গ্রুপ পেরিয়ে সুপার ফোরে ঝড় তুলবে। কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টো। গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল দল। প্রশ্ন উঠছে, এত প্রতিভাবান ক্রিকেটার থাকার পরও কেন ব্যর্থ হলো আফগানিস্তান?
ব্যাটিং অর্ডারে অস্থিরতা

আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ব্যাটিং অর্ডারে স্থিরতা না থাকা। আফগানিস্তান দলের কোনো স্থায়ী ব্যাটিং অর্ডার ছিল না। এবারেও নতুন ওপেনিং জুটিতে রহমানুল্লা গুরবাজ ও সিদিক্কুলা অটলকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে, দুজনের কেউই সেভাবে ভালো ছন্দ দেখায়নি। স্পিন বিশেষেজ্ঞ দলের স্পিনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যাকফুটে দেখা গিয়েছে। দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড় ইব্রাহিম জাদরানও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে রান তাড়া করতে এসে একেরপর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দেখা গেল, টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়ার সাথে সাথে মিডিল অর্ডারেও সম্পূর্ণরূপে ভাঙন ধরেছিল। দলের মধ্যে একাধিক ছোট ছোট পার্টনারশিপ হলেও কোনো বড় রান আসেনি দলের ব্যাটসম্যানদের পক্ষ থেকে। এশিয়া কাপের মতন বড় মঞ্চে ব্যাটিংয়ে এমন অনিশ্চয়তা আফগানিস্তানের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। হংকংকে বাদ দিয়ে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কেবলমাত্র মোহম্মদ নবীর ব্যাট থেকে অর্ধশতরান এসেছিল। যেটি দলের উপর বেশ প্রভাব ফেলেছিল।