আগামী শনিবার আইপিএল ২০২৫-এর মেগা মঞ্চে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হতে চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলের। গতবার নাইট রাইডার্স দল পুরো মৌসুম জুড়েই অসাধারণ প্রদর্শন করেছিল, বিশেষ করে প্লে-অফের ম্যাচ গুলোতে নাইট রাইডার্স ছিল অপ্রতিরোধ্য। বেশ কয়েকজন স্টার খেলোয়াড়কে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও এই ৩ কারণের জন্য আসন্ন আইপিএলেও আবার একবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে KKR দল।
নারিন-বরুণের ৮ ওভারের স্পেল

কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) দলের স্বনামধন্য অলরাউন্ডার সুনীল নারিনকে (Sunil Narine) আবার একবার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। গতবারের আইপিএলে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট এবং বল হাতে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। গৌতম গম্ভীরের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করেছিলেন সুনীল নারিন। আসন্ন আইপিএলে সুনীল নাইট রাইডার্স এর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেই আশা করছে ভক্তরা। ব্যাট হাতে যেমন আক্রমণাত্মক সূচনা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সুনীলের ঠিক তেমনই বল হাতে তার চার ওভার হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল ইতিহাসের সব থেকে সফল অলরাউন্ডার হিসেবে তাকেই গণ্য করা হয়। তার বোলিং প্রদর্শনের কথা বলতে গেলে নাইট রাইডার্স দলের হয়ে ২০১২ সাল থেকে খেলে আসছেন সুনীল।
Read More: IPL 2025: মরসুম শুরুর আগেই বেহাল ব্রহ্মাস্ত্র, চিন্তা বাড়ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ শিবিরে !!
যেখানে কলকাতার হয়ে সর্বাধিক উইকেট তার নামেই রয়েছে। ১৮৬ ম্যাচে ১৯৮ উইকেট নিয়েছেন নারায়ন। পাশাপাশি ওভার কিছু দিয়েছেন কেবলমাত্র ৬.৬৫ রান। সুনীলের চারটি ওভার যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarthy) চারটি ওভার আরও গুরুত্বপূর্ণ। বরুণ সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন। তাছাড়া, গত কয়েক মাস ধরে ভারতের জার্সিতে সবথেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন বরুণ নিজেই। কলকাতার জার্সিতে বরুণ তৃতীয় সফল স্পিনার, ৭০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৮২ উইকেট এবং ওভার পিছু ৭.৫১ রান খরচ করেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের এই দুই স্পিনারের বোলিং হতে চলেছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রিঙ্কু-রাসেলের ফিনিশিং

এবারের আইপিএলে সবথেকে শক্তিশালী ফিনিশারদের কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) দলে দেখতে পাওয়া যাবে। বিগত কয়েক বছর ধরে ফিনিশার হিসাবে খুবই সফল অন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) এবং তার সঙ্গে রিংকু সিং (Rinku Singh) বড় ভূমিকা পালন করেছেন। দুজনকেই এবারের আইপিএলে একসাথে খেলতে দেখা যাবে। দুজন একসাথে ব্যাটিং করলে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠবেন। গত মৌসুমে খুব একটা ভালো ছন্দে দেখা যায়নি রিংকুকে, তবে আসন্ন মৌসুমে রাসেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভালো ফিনিশ করাতে পারেন দুজনেই। তাছাড়া, ফিনিশার হিসাবে রমনদীপ সিংকেও (Ramandeep Singh) দেখতে পাওয়া যাবে যিনিও শেষের দিকে লম্বা লম্বা ছক্কা হাঁকাতে মাহির। কলকাতা দলের ফিনিশাররা বিপক্ষ দলের মাথাব্যথা হয়ে উঠবেন।
ওপেনারদের বিধ্বংসী ব্যাটিং

এবারের আইপিএলে দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক (Quinton De Kock) এবং সুনীল নারিনকে (Sunil Narine) একসাথে ওপেনিং করতে দেখতে পাওয়া যাবে। গত মৌসুমে সুনীল নারিন এবং ফিলিপ সল্টকে (Philip Salt) একসাথে ওপেনিং করতে দেখা গিয়েছিল। বেশিরভাগ ম্যাচেই ওপেনাররা কলকাতার জন্য ম্যাচ নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
এবারের আইপিএলে ফিলিপ সল্টকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। তার পরিবর্তন হিসেবে কুইন্টন ডি কক নাইট রাইডার্স দলের কাছে একটি ভালো বিকল্প। বিশেষ করে ইডেন গার্ডেন্সের মাঠে ডি কক সবসময় প্রদর্শন করেছেন। এমনকি আইপিএলে তার সর্বোচ্চ স্কোরটি ইডেন গার্ডেন্সের মাঠেই এসেছিল। সুনীল নারিন এবং ডি ককের আক্রমনাত্মক ব্যাটিং দলের বাঁকি ব্যাটসম্যানদের স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেবে।