আর মাত্র একটি ম্যাচ, তৃতীয় বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে রোহিত বাহিনীকে মেগা ফাইনালে ৫বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে পরাস্ত করতে হবে। ভারতীয় দল চলতি মরশুমে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। প্রথম ১০ ম্যাচেই ১০টি তেই জয়লাভ করে ইতিমধ্যেই ফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। মেগা সেমিফাইনালে ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডকে পরাস্ত করেছে এবং অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার (IND vs AUS) মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে সেই বারের অজি’দলকে হারাতে ব্যার্থ হয় টিম ইন্ডিয়া।অন্যদিকে, রোহিত বাহিনীর কাছে এই ট্রফি দখলের রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেও দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল যেখানে কেএল রাহুলের ৯৭* ও বিরাট কোহলির ৮৫ রানের ইনিংস টিম ইন্ডিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয় এবার পালা ফাইনালের দৌড়ে নিজেদের প্রমান করার, এই ৩ কারণে অজিদের পরাস্ত করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: World Cup 2023: ‘ওস্তাদের মার শেষরাতে’ ভুল শুধরে নিচ্ছেন রোহিত শর্মা, ফাইনালে এই ‘তুরুপের তাস’কে সুযোগ দিচ্ছে ভারত !!
বিরাট কোহলির ফর্ম

২০২৩ সালে পুরানো ফর্মে চলে এসেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবার একবার স্বপ্নের ফর্মে বিরাজমান কিং কোহলি। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি এই বিশ্বকাপে বেশ জমিয়ে ব্যাটিং করছেন। প্রথম ম্যাচ থেকেই তাকে ছন্দে দেখা গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত ২০০ রান তাড়া করতে এসে প্রথমেই তিন উইকেট হারিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া তারপর কেএল রাহুলের সঙ্গে কিং কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ভারতকে বিশ্বকাপের প্রথম জয়ের পথ দেখায়। এরপর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান, একে একে এই বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ বাদে বাঁকি ম্যাচ গুলিতে বিরাটের ব্যাট থেকে অর্ধশতরান বা শতরান এসেছে। সেমিফাইনালের মেগা ম্যাচে নিজের আইডল সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড ভাঙলেন বিরাট কোহলি। ওডিআই ক্রিকেটে ৫০ তম শতরান হাঁকিয়ে সচিনকে টপকে গেলেন বিরাট। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সিজিনে সর্বাধিক রান বানিয়েছেন বিরাট। সচিনের ২০০৩ সালে বানানো ৬৭৩ রানের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। আপাতত এই বিশ্বকাপে তিনি ১০ ম্যাচে ১০১ গড়ে ৭১১ রান বানিয়েছেন বিরাট।
মোহম্মদ শামির কামব্যাক

দলের কম্বিনেশনের অভাবে টিম ইন্ডিয়ার প্রমুখ পেসার মোহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দলের বাইরেই রাখা হচ্ছিল। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) চোট তার ও টিম ইন্ডিয়ার কাছে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় চোট পাওয়ার পর হার্দিক পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন যেখানে পরের ম্যাচটি ভারত খেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং এই মেগা ম্যাচে ভাগ্য খোলে মোহম্মদ শামির। প্রথম ম্যাচেই নিয়েছেন ৫ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪, তৃতীয় ম্যাচে আবার ৫, চতুর্থ ম্যাচে ২টি, পঞ্চম ম্যাচে পাননি কোনো উইকেট এবং ষষ্ঠ ম্যাচে আবার ৭ উইকেট নিয়ে ২৩ টি উইকেট নিয়ে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে উঠলেন। শুধু তাই নয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও দারুন পারফরমেন্স করে থাকেন শামি। ভারতীয় দলের এই পেসার কিছুদিন আগেই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ফাইনালের শামির পারফরমেন্সে জয় আসবে টিম ইন্ডিয়ার।
পিচের পরিবর্তন
এই বিশ্বকাপে পিচ সবসময় একটি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মূলত বেশ কিছু সময় ধরেই ভারতের অনুষ্ঠিত হওয়া খেলায় স্লো উইকেট দেখতে পাওয়া যায়, যা নিয়ে বেশ সমালোচনা করে বিদেশি ক্রিকেটাররা। তবে এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালেও দেখা যেতে পারে স্লো উইকেট, ভারত গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেখানে তুলনামূলক স্লো উইকেট গিয়েছিল দেখা। বিদেশি দলগুলি মূলত তাদের পেদারদের উপরেই বেশি নির্ভর করে থাকে এবং অজি দলেরও প্রধান অস্ত্র হলো পেসার। যদিও অস্ট্রেলিয়া দলে স্পিনার রয়েছে, তবুও ভারতীয় দল স্পিন বেশ ভালো খেলে এবং পিচের পরিবর্তন হওয়া নিয়র ইতিমধ্যেই ভয়ের ছায়া দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে।