IND vs BAN: গতকাল রাতেই ঘোষিত হয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড। ভারতীয় দল আপাতত টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম তিন দিনেই অক্লান্ত বৃষ্টি ও মাঠের পরিস্থিতি উপযুক্ত না হওয়ার কারণে আপাতত দ্বিতীয় ম্যাচে কেবলমাত্র ৩৫ ওভারের খেলা দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে ভারত ও বাংলাদেশের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু হতে চলেছে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে। প্রথম ম্যাচটি আসামের গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তবে গতকাল প্রকাশ্যে আসা ভারতীয় স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আইপিএলের নতুন নিয়মে মালামাল হতে চলেছেন। গতকাল রাতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম জারি করেছে আসন্ন আইপিএলের জন্য। তার মধ্যে একটি নিয়ম হল ক্যাপড ও আনক্যাপড প্লেয়ারের। আসলে আইপিএল নিলামের আগে রিটেনশনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোন ভারতীয় খেলোয়াড় যদি পাঁচ বছর কোন ম্যাচ না খেলেন কিংবা বিসিএস এর বার্ষিক চুক্তির আওতায় না পড়েন তাহলে তিনি আনক্যাপ প্লেয়ার হিসেবেই গণ্য হবেন।
Read More: হেক্সা মিশনে প্রস্তুত চেন্নাই সুপার কিংস, দলে এন্ট্রি নিচ্ছেন অশ্বিন-শামি !!
১. হার্ষিত রানা
তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের মুখ্য পেশার হার্ষিত রানা (Harshit Rana)। ২০২৪ সালটা বেশ ভালোই কাটছে ভারতীয় দলের এই তরুণ পেসারের। চলতি বছরে আইপিএলের মঞ্চে খবরের শিরোনামে উঠেছিলেন হার্ষিত রানা। মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে আউট করার পরে তার ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। এমনকি তার প্রদর্শনের উপরে উঠেছিল প্রশ্ন, তবে সবকিছুকে উপেক্ষা করে নিজের সেরাটা দেখিয়েছিলেন আইপিএলের মঞ্চে। ফলস্বরূপ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে তৃতীয় খেতাব জয় করাতে মোক্ষম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের আইপিএলের মঞ্চে ১৩টি ম্যাচে ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন হার্ষিত। তার এই পারফরমেন্সের পর তাকে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তারপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআই স্কোয়াডেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি রানা। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দলে খেলার সুযোগ পেলে তিনি আনক্যাপড প্লেয়ার থেকে ক্যাপড প্লেয়ার হয়ে উঠবেন। ফলে আসন্ন আইপিএল নিলামের আগে তিনি বেশি টাকা পাবেন।
২. নীতিশ রেড্ডি
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নীতিশ রেড্ডি (Nitish Reddy)। ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের আইপিএলে ব্যাট ও বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন নীতিশ। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি বেশ ভালো প্রদর্শন করছেন যে কারণে জাতীয় দলে তাকে ডাক পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছু সূত্রের খবর অনুযায়ী ভারতীয় দলে পেশার অলরাউন্ডারের পরিমাণ দিন দিন কমে গিয়েছে। যেখানে নীতিশ রেড্ডি ভবিষ্যতে পেশার অলরাউন্ডার হিসেবে একজন ভালো বিকল্প হতে পারেন। তাকে অল্প বয়স থেকে প্রস্তুত করার জন্য বড় ভূমিকা নিতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নীতিশ ২০২৪ সালের আইপিএলে ৩৩.৬৭ গড়ে ও ১৪২.৯২ স্ট্রাইক রেটে বানিয়েছিলেন ৩০৩ রান। হার্ষিত রানার মতন তিনিও আইপিএলে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসাবে খেলছেন। তবে ভারতের জার্সিতে এন্ট্রি নিলে তিনিও ক্যাপড প্লেয়ার হয়ে মালামাল হবেন।
৩. বরুণ চক্রবর্তী
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। ভারতীয় দলের এই তারকা স্পিনার ২০২১ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষবার ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন। তারকা খেলোয়াড় ভারতের হয়ে মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ওভার পিছু ৫.৮৭ রান দিয়েছেন এবং কেবলমাত্র দুটি উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তার ফিটনেসের ব্যর্থতার কারণে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। বরুণ আবার কামব্যাক করেছেন, আইপিএলের মঞ্চে গত দুই বছর ধরে দুর্দান্ত প্রদর্শন দেখাচ্ছেন তিনি। গত মৌসুমে আইপিএলে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন কেকেআরের পক্ষ থেকে তিনি। আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী লক্ষী লাভ হয়েছে বরুণের। যেহেতু তিনি গত পাঁচ বছরে ভারতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি কিংবা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিরও আওতায় আসেন না। সেই কারণেই তিনি এখন আনক্যাপ প্লেয়ার। তবে আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজে সুযোগ পাওয়ার পরে তিনি হয়ে উঠবেন ক্যাপড প্লেয়ার। তারপরে আইপিএলের মঞ্চে তুলনামূলক বেশি অর্থই পাবেন তিনি।