আগামী বছর মার্চ মাস থেকে বসতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) আসর। আর এই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ হলো এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে তরুণ খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার তৈরি করে এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ করে নেয়। আবার কিছু কিছু খেলোয়াড়রা রয়েছেন যাদের উত্থানে দল মালিক বা মালকিনদের বেশ ভূমিকা রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (IPL) এমন ৩ প্লেয়ার রয়েছেন যারা মালকিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখে ক্যারিয়ার ভালো করেছেন।
রিঙ্কু সিং-সুহানা খান
তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। আইপিএলে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন রিঙ্কু সিং, ২০২৩ সালে গুজরাত টাইটান্স দলের বিরুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি তার জনপ্রিয়তার প্রসার ঘটিয়েছে। যশ দয়ালের শেষ ৫ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে জয় এনে দেন আর তারপর থেকেই রিঙ্কুর প্রতি সদয় হয়ে ওঠে খান পরিবার। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের মালিক শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) রিঙ্কুকে নিজের কাছের লোক বলেই মনে করেন।
Read More: যুবরাজের জীবনযুদ্ধের গল্প এবার সিনেমার পর্দায়, আসছে মহাতারকা’র বায়োপিক !!
শাহরুখের সঙ্গে রিঙ্কুর ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সমাজ মাধ্যমে শাহরুখ কন্যা সুহানা ও রিঙ্কুকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়, এমনকি তাদের বিয়ের খবর ও সামনে এসেছিল। যদিও, এই সম্পর্কের কোনো স্পষ্টতা নেই। রিঙ্কু তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সূচনা করেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে, তবে পাঞ্জাবের জার্সিতে একটিও ম্যাচ খেলেননি তিনি। ২০২২ সালে প্রথম কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নামেন রিঙ্কু, প্রথম কয়েকটি ম্যাচে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি তবে পরবর্তী সময়ে তিনি ভক্তদের চোখের মণি হয়ে ওঠেন। গত সিজিনে খারাপ পারফরমেন্সের কারণে আসন্ন আইপিএলে (IPL 2025) তাকে KKR ধরে রাখবে কিনা তা নিয়ে চলছে চর্চা।
স্যাম কারান-প্রীতি জিন্টা
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যাম কারানের (Sam Curran) নাম। ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার বিগত কয়েক বছর ধরে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলে আসছেন, মাঝে কয়েক সিজিনের জন্য চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে, স্যাম কারান ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়ার হিসাবে বিবেচিত হওয়াতে পাঞ্জাব দলের মালকিন প্রীতি জিন্টা তাকে পুনরায় পাঞ্জাব দলে ফিরিয়ে আনেন। আইপিএলে (IPL) আহামরি পারফরমেন্স না করলেও তার উপর বেশ ভরসা রেখেছে পাঞ্জাব ফ্রাঞ্চাইজি ও প্রীতি জিন্টা।
গতবছর পাঞ্জাব দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন জিতেশ শর্মা (Jitesh Sharma)। তবে শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) চোট পেতে অধিনায়িযত্ব জিতেশের বদলে স্যাম কুরাণের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল। আইপিএলে ৫৯ ম্যাচ খেলে ২৫.২৩ গড়ে ও ১৩৬.৪৮ স্ট্রাইক রেটে বানিয়েছেন ৮৮৩ রান এবং বল হাতে নিয়েছেন ৫৮ উইকেট ও ওভার পিছু দিয়েছেন ৯.৬৫ রান। খারাপ পারফরমেন্সের পরেও তাকে বারবার দলে টেনে নিয়েছেন প্রীতি, বেশ কিছু সূত্রের খবর অনুযায়ী আসন্ন আইপিএলেও তাকে কিনতে মোরিয়া প্রীতি জিন্টা।
হার্দিক পান্ডিয়া-নিতা আম্বানি
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) এবং নিতা আম্বানি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে নিতা আম্বানির সম্পর্ক প্রায় সকলেরই জানা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিশাল বড় অবদান রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়াকে খেলোয়াড় বানাতে। ২০২৪ আইপিএলে (IPL 2024) ভারতীয় দলের অধিনায়কের রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) পরিবর্তন করে হার্দিক পান্ডিয়াকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক করা হয়। রোহিত শুধু ভারতীয় দলের নয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক।
তার অধিনায়কত্বে মুম্বাই ফ্রাঞ্চাইজি ইভেন্টে মোট ছয়টি শিরোপা জিতেছে যার মধ্যে পাঁচটি আইপিএলের মঞ্চেই এসেছে। হার্দিক মুম্বইতে ২০১৫ সাল থেকে খেলছেন তবে প্রথম দুই বছর তার আইপিএল (IPL) যাত্রা ছিল খুবই সাধারণ, তবুও ম্যানেজমেন্ট তাকে একাধিক সুযোগ দিয়েছে। পাশাপশি, ২০২২ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছেড়ে গুজরাত টাইটান্স দলের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন হার্দিক আর হার্দিককে ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা ছিল আম্বানি পরিবারের।