শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), এমএস ধোনি (MS Dhoni), কপিল দেব (Kapil Dev), মোহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) থেকে শুরু করে হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur), দীপ্তি শর্মারা (Deepti Sharma) ক্রিকেটের ভারত সরকারের বিভিন্ন পদে যুক্ত। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন আরও কয়েকটি নতুন নাম। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপ জিতে নেয় ভারতীয় দল। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের পর তিন তারকা ক্রিকেটারকেরেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। তিনজনকেই ক্রীড়া বিভাগে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ODC) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মহিলা ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে গত মাসেই। আর সেই সাফল্যেরই বড় স্বীকৃতি হিসাবে স্নেহ রানা, প্রতিকা রাওয়াল এবং রেণুকা সিংহ ঠাকুর – মোট ৩ জনকে এবার থেকে কেন্দ্র সরকারের এই কাজ করতে দেখা যাবে। কার্যত, চোটের কারণে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলতে পারেননি ওপেনার প্রতিকা রাওয়াল। তবে, তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৭ ম্যাচে ৩০৮ রান করে তিনি ছিলেন চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর নর্দার্ন রেলওয়ে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন রেল মন্ত্রকের কাছে তাঁর পদোন্নতির আবেদন জানায়, যা অনুমোদিত হয়েছে। ফলে প্রতিকা রাওয়ালকে সপ্তম বেতন কমিশনের পে ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী লেভেল-৮ গ্রুপ ‘বি’ গেজেটেড ওএসডি পদে সরাসরি প্রোমোশন দেওয়া হয়েছে।
Read More: মাথায় ‘গম্ভীর’ চোট পেলেন হেড কোচ গৌতম, বিরাট-রোহিতের ভয়ে করছেন পদত্যাগ !!
কেন্দ্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন এই ৩ তারকা

অন্যদিকে, বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রতিকার জায়গায় সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে খেলার জন্য স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন শেফালী ভার্মা। তিনি ফাইনালে ৮৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ও ২টি মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। প্রতিকার পাশাপশি, স্নেহ রানা ও রেণুকা সিংহের ক্ষেত্রেও একইভাবে রেলওয়ে বোর্ড আউট–অফ–টার্ন প্রোমোশনের মাধ্যমে ওএসডি পদে উন্নীত করেছে। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য এনে দেওয়া অ্যাথলিটদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই বিশেষ পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভারতীয় মহিলা দল এর আগে দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও কখনও শিরোপা জিততে পারেনি। অবশেষে ২ নভেম্বর ২০২৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২৪৬ রানে অলআউট করে ভারত ইতিহাস গড়ে প্রথমবার ট্রফি জিতে নেয়। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হন শেফালি বর্মা, আর টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পান দীপ্তি শর্মা। তাকেও ডিএসপি পদে উত্তীর্ণ করা হয়।