Virat Kohli: ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যান হিসাবে সফল হওয়ার পর সেই বছরই বিরাট কোহলি ভারতীয় সিনিয়র দলে জায়গা করে নেন। তখনই সবাই বুঝে যায় এই খেলোয়াড়টির মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে। তবে, তিন ফর্ম্যাটেই যে একদিন তিনি আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হবেন তা কেউ অনুমান করতে পারেনি। যত সময় এগিয়েছে, ততই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। রানের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিরাটকে এখন চলতি সময়ের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানের তকমা দেওয়া হয়। রবিবার বিরাট কোহলির জন্মদিন। তাই এখানে তার কিছু সেরা ইনিংসের কথা তুলে ধরা যেতে পারে যেগুলির স্বপ্ন হয়তো এখনও দেখেন খোদ ‘কিং’ বিরাট।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২২ রান
এই ম্যাচে পুনের পিচে ৩৫০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে, ভারতের শুরু খুব খারাপ ছিল এবং ১২ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৬৩/৪। ততক্ষণে বিরাট কোহলি শুরুটা ভালো করলেও অন্য প্রান্ত থেকে ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকে। সেই ম্যাচে কেদার যাদব অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ভাল সমর্থন দেন এবং দুই ব্যাটসম্যান মিলে ২০০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। যদিও বিরাট কোহলি ১০৫ বলে ১২২ রান করে আউট হন, কিন্তু কেদার যাদব ৭৬ বলে ১২০ রানের দ্রুত ইনিংস খেলে ভারতকে ৩৫০ রানের বিশাল লক্ষ্যে নিয়ে যান। ভারতীয় দল এই ম্যাচটি ৪৯তম ওভারেই জিতে যায় এবং কোহলি ও যাদবের এই ইনিংসগুলি এখনও মানুষের মনে তাজা।
২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রান
প্রথম ব্যাট করে ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ও নাসির জামশেদের সেঞ্চুরি ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তান ৩২৯ রানে দুর্দান্ত স্কোর করে। জবাবে ওপেনার গৌতম গম্ভীরের উইকেট হারায় ভারতীয় দল। কোহলি যখন ৩ নম্বরে ব্যাট করতে আসেন, তখন তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল। তিনি শচীন তেন্ডুলকার এবং রোহিত শর্মার সাথে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন এবং গোটা ইনিংস জুড়ে প্রয়োজনীয় রান রেট বজায় রাখেন। বিরাট ২১১ মিনিট ব্যাট করে ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেন। ক্যাপ্টেন কোহলি তার ইনিংসে ২২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে ভারতীয় দল মাত্র ৪৭.৫ ওভারে ৩৩০ রানের বিশাল লক্ষ্য অর্জন করে।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৩ রান
২০১১-১২ মরশুমে একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ভারত । অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ ০-৪ ব্যবধানে হারার পর, ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের দরকার ছিল জয়। এর পাসাপাশি তাদের একটি বোনাস পয়েন্ট পাওয়াও ছিল বিশেষ জরুরি। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৩২০ রান তুলেছিল লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ফাইনালে যেতে ৪০ ওভারের মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জন করতে হত ভারতকে। ৩২০ স্কোরের দিকে তাকালে এটি করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল কিন্তু অধিনায়ক কোহলি তার দুর্দান্ত ইনিংস দিয়ে তা করে দেখান। বিরাট কোহলি মাত্র ৮৬ বলে ১৬টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ভারতীয় দল মাত্র ৩৬.৪ ওভারে এই লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে ৭.৪ ওভারে ৯৬ রান দিয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা।