ক্রিকেট বিশ্বে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এয়ারস্ট্রাইকে নিহত হয়েছেন আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার সহ মোট আটজন। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া আসন্ন সিরিজ থেকে নিজেদের দল প্রত্যাহার করে নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। এই সিরিজটি আগামী মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতো সিরিজটি এবং ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলতো।রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরেই মূলত দেখতে পাওয়া যাবে এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পাশাপশি শ্রীলঙ্কাও এই সিরিজের অন্তর্গত।
মর্মান্তিক হামলা চালালো পাকিস্তান

শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্স (X) হ্যান্ডেলে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (ACB) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে – দেশের ৩ ক্রিকেটারের মৃত্যুতে তাঁরা শোকাহত ও তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে অনগ্রহন করবে না। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েও ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই আবারও আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে বোমা বর্ষণ করে। এই হামলায় কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার।
Read More: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জঘন্য হারে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের জনতা, ক্রিকেটারদের ধরে দিলেন উত্তম-মধ্যম !!
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই তিন তারকার ছবি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে।কবীর, হারুন ও শিবঘাতুল্লাহ নামের ৩ ক্রিকেটার প্রাণ হারিয়েছেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ের ম্যাচ খেলতে উরগুন থেকে সারানায় যাচ্ছিলেন। আর সেসময় ঘটেছিল এই মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। সরকারের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
প্রাণ হারিয়েছেন তিন খেলোয়াড়

তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আমরা আমাদের সেনাদের আক্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলাম, যদি না পাকিস্তান আগে আক্রমণ করে। কিন্তু তারা নিজেরাই সংঘর্ষবিরতি ভেঙেই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার নিজেদের দেশ রক্ষায় পূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করা হবে।” চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই দেশের সেনার মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় বহু প্রাণহানি ঘটে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানায়, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ফের আক্রমণ চালায় তারা। এই প্রথম নয় আগেও পাকিস্তান বাহিনীর থেকে এমন কাপুরুষকতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এই সংঘর্ষের দায়ভার ভারতের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তার দাবি, সীমান্তে ভারতের নোংরা খেলার জন্যই নাকি দুই দেশের উত্তেজনা বাড়িয়েছে। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।