ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং ভক্তদের উন্মাদনা আধুনিক ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli) ছোটো থেকে বড়ো সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। নতুন প্রজন্ম তাদেরকে জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে মনে করে থাকে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) জয়ের পরে আনন্দের উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে। ট্রফি জয় করে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। তবে রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা বর্তমানে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
বিরাট কোহলি আউটের পরে মৃত্যু কিশোরীর-

সূত্র অনুযায়ী গত রবিবার অ্যাডভোকেট অজয় পান্ডের ১৪ বছরের মেয়ে প্রিয়াংশি পান্ডে পরিবারের সাথে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের (IND vs NZ) ফাইনাল ম্যাচটি দেখছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায় দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এক রানে আউট হয়ে গেলে প্রিয়াংশি আবেগপ্রবণ হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। যার ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চিকিৎসকরা কিশোরীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সংবাদমাধ্যম পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আসল তথ্য সামনে আসে। কিশোরীর একজন আত্মীয় জানান ঘটনার সময় তার বাবা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না।
কিশোরীর মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা-

প্রতিবেশীদের মতে অজয় পান্ডে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (IND vs NZ) ম্যাচের প্রথম ইনিংস দেখার পর বাজারে গিয়েছিলেন। যখন ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় প্রিয়াংশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে টিভিতে খেলা দেখছিলেন। হঠাৎ করেই ১৪ বছরের কিশোরী অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে অজয় পান্ডেকে ফোন করে খবর দেন। তিনি দ্রুত বাড়িতে ফিরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও হাসপাতলে পৌঁছানোর পর প্রিয়াংশীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। অজয় পান্ডে জানান ক্রিকেট ম্যাচের সঙ্গে এই মৃত্যুর কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি নিশ্চিত করেছেন প্রিয়াংশি যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন তখন ভারত ম্যাচে ভালো অবস্থায় ছিল। বিরাট কোহলি তখন ব্যাট করতেই আসেননি। তবে মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা থাকলেও কিশোরীর বাবা দেহটির ময়নাতদন্ত করেননি। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে তিনি প্রিয়াংশির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন।