এই মুহুর্তে ভারতীয় সংবাদপত্রের শিরোনামে রয়েছেন মহম্মদ শামী। তার স্ত্রী হাসিন জাহান এই জোরে বোলারের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে চলেছেন। কখনও বিভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, তো কখনও স্ত্রীকে মারধর ও হুমকী দেওয়া আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতও জঘন্য অভিযোগও রয়েছে এই নির্ভর যোগ্য জোরে বোলারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ভারতীয় দলের এই জোরে বোলারের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে মহম্মদ শামীর স্ত্রী হাসিন জাহান অভিযোগ করে চলেছেন যে বেশ কিছু মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন এই জোরে বোলার। এই অভিযোগের স্বপক্ষে বেশ কিছু স্ক্রীনশট তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও আপলোড করেছেন। ওই স্ক্রীণশটগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে এই জোরে বোলার কিছু মহিলার সঙ্গে চ্যাট করছেন, তাদের নিজের হোটেল রুমে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন।
শামীর স্ত্রী কোলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজারে গিয়ে ভারতীয় এই জোরে বোলারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করে এসেছেন। এই সমস্ত অভিযোগের পরও আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শামীর বিরুদ্ধে এনেছেন তার স্ত্রী। হাসিনের দাবী
শামী ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত। ইংল্যান্ডের এক ব্যাবসায়ী মোহম্মদ ভাইয়ের কথায় আলিসবা নামে এক পাকিস্থানী মহিলার কাছ থেকে দুবাইতে টাকা নেন শামী। তার কাছে প্রমানও রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবী জানিয়েছেন এই জোরে বোলারের স্ত্রী। এবিপিকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে হাসিন বলেছেন, “ যদি শামী আমাকে ঠকাতে পারে তাহলে ওর মত মানুষ দেশকেও ঠকাতে পারে। ও দুবাইতে এক পাকিস্থানী মহিলা আলিসবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ইংল্যাডের এক ব্যবসায়ী মোহম্মদ ভাইয়ের কথাতেই ও এই টাকা নিয়েছিল। আমার কাছে তার প্রমাণও আছে”। হাসিনের এই অভিযোগের কোনটা সত্যি আর কোনটাই বা মিথ্যে যেহেতু তা এখনও কিছু প্রমানিত হয় নি, ফলে স্বভাবতই প্রাক্তন আরত অধিনায়ক কপিল দেব মহম্মদ শামীর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন শামীর বিরুদ্ধে আনা এই ধরনের অভিযোগ ঘৃণিত এবং নোংরা।
একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিল জানিয়েছেন, “ আমি বিশ্বাস করি না শামীর স্ত্রী যে অভিযোগ এনেছেন তা সত্যি। সত্যিই যদি তিনি এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা আগে থেকে জেনে থাকেন তাহলে এতদিন কেনো তিনি সেটা নিয়ে কোনও অভিযোগ করেন নি? ওদের সম্পর্কটা যখন ভালো ছিল সেই সময়ও কেন নিশ্চুপ ছিলেন তিনি? ওখানে তদন্তকারীরা রয়েছেন। তাদের কাজটা তাদের করতে দিন। সত্যিই যদি শামী এমন কিছু করে থাকেন তাহলে অগ্রহণীয় এবং লজ্জাজনক। মহম্মদ শামী একজন ভীষণই পরিশ্রমী ক্রিকেটার। এই মুহুর্তে ওর ব্যক্তিগত সম্পর্ক সমস্যায় রয়েছে আমি মানছি, কিন্তু যতক্ষণ না প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ ওর স্ত্রী এই ধরণের অভিযোগ ভীষণই নোংরা এবং কুৎসিত”। এদিকে শামীর স্ত্রী অভিযোগের পরই বুধবার ভারতীয় বোর্ড শামীর সঙ্গে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তির নবীকরণ স্থগিত রেখেছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মহম্মদ শামী।