মাত্র এক ঘন্টা চৌত্রিশ মিনিট! ভাবছেন কোনও ইংরেজি সিনেমার সময়! একদমই নয়, বরং মাত্র এই সামান্য সময়েই গুঁড়িয়ে গেল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। হলিউডি অ্যাকশন ছবির নায়কেরা যেভাবে দুধর্ষ ভিলেনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় নিমেষে ঠিক সেভাবেই ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদির সম্পূর্ণ ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে মুড়িয়ে দিতে লাগল এই টুকুই সময়। দেখে মনে হতে পারে এটা কোনও টি ২০ ম্যাচ, আসলে তা নয় এটা নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের প্রথম দিন রাতের টেস্টের প্রথম ইনিংস। আর অকল্যান্ডের পিচে ইংল্যান্ড ধরাশায়ী মাত্র ৫৮ রানে। সৌজন্য বোল্টের ৬ এবং সাউদির চার উইকেট। এই দুই জোরে বোলারের রোলারের ধাক্কায় এর থেকেও আরও লজ্জার মুখে পড়ত হত ইংরেজ ব্যাটি আভিজাত্যকে। মূলত এই দুই বোলারের কৃতিত্বেই এক সময় ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৯ উইকেটে মাত্র ২৭ রান। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের লজ্জা কিছুটা হলেও কমান বৃটিস বোলার ক্রেগ ওভারটন। এই ২৩ বছরের বোলার শেষ দিকে ধামাকেদার ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের যে পিচ কুক রুটের বধ্যভূমি হয়ে দেখা দিয়েছিল সাউদি বোল্টের সামনে সেখানেও অনায়াসে ব্যাটিং করেন ওভারটন। এই ইংরেজ বোলার শেষ দিকে বোল্ট এবং সাউদিকে ৫টি বাউন্ডারি ও সেই সঙ্গে একটি ওভার বাউন্ডারিও মারেন। তা না হলে ইংল্যান্ডকে হয়ত প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশেরও কম রানের লজ্জায় পড়তে হত। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে মাত্র ওভারটন ছাড়া আর মাত্র একজনই দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। ইংল্যান্ড ওপেনার স্টোনম্যান করেন ১১ রান।
সাউদি বোল্টের দাপটে ইংল্যান্ডের পাঁচ জন ব্যাটসম্যান কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ইংল্যান্ডের এই অসহায় আত্মসমর্পণে অবাক সারা ক্রিকেট বিশ্বও। এখন দেখার সাউদি বোল্টের মত ঝড় তুলতে পারেন কিনা ইংল্যান্ড বোলাররাও। অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে এখনও পর্যন্ত নিউজ্যলান্ড করেছে ১০২ /২ । ক্রিজে রয়েছে উইলিয়ামসন (৬৪*) এবং টেলর (৭*)।