গত পহেলা জুলাই হতে ভারতে চালু হয়েছে ‘গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স – অর্থাৎ পণ্য পরিষেবা কর। এই পণ্য পরিষেবা কর অথবা সংক্ষেপে জি এস টি-ই দেশের সব থেকে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। সহজ কথায়, এই নিয়মের আগে প্রতিটি রাজ্য নিজের মতো করে যেসব কর বসাতো নানা পণ্য ও পরিষেবার ওপরে, সেগুলো উঠিয়ে দিয়ে এক ধরণের ব্যবসার জন্য সারা দেশে একই হারে কর বসানো হচ্ছে। এ কর ব্যবস্থা নিয়ে শুরু হতে অনেক দ্বন্দ্ব আলোচনা। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধীতা যেমন হয়েছে, তেমনই প্রতিবাদ হয়েছে ব্যবসায়ী মহলেও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যবসা বনধ ও হয়েছে। মধ্যরাতের বিশেষ অধিবেশন অনেকটা সেই কায়দায় এই কর আদায়ের ঘোষনা দেওয়া হয় যেভাবে ১৯৪৭ সালের ১৪ আর ১৫ই অগাস্টের মাঝরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাতের বিশেষ অধিবেশনে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। আবার এই বিশেষ অধিবেশন বয়কট করেছিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করে এবার টুইট করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরবজন সিং। তিনি লিখেন, “রাতের খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্টে যখন বিল দিলাম মনে হল আমাদের সাথে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সাথে খেয়েছে। ” স্বাভাবিক ভাবে ই অনেকে ই তার টুইটের সাথে এক মত প্রকাশ করেন। রাজ কুন্দ্র লেখেন, “হা হা হা সুন্দর বলেছেন। ” রবীন্দ্র রুপাল লেখেন, “হা হা একেবারে সঠিক দুসরা।” একটি অনলাইন পত্রিকা টুইটে লিখেছে, “জিএসটি নামক কর ব্যবস্থার পূণর্মূল্যায়নের জন্য মনে হয় ডিআরএস থাকা উচিত।” এক সময়ের জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হরবজন সিং দীর্ঘ দিন ধরে ই জাতীয় দলের বাহিরে।
১৯৯৮ সালে টেস্টে অভিষেক হওয়া হরবজন সিং ২০০১ সালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে গাভাস্কার – বোর্ডার ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছিলেন ভারতের হয়ে টেস্টে প্রথম হ্যাটট্রিকও। ২০১৫ সালে ভারতের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট ও ওয়ানডেতে খেললেও ২০১৬ সালে টিটুয়েন্টি এশিয়া কাপে খেলেছিলেন ভারতের হয়ে।এরপরে আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামা হয় নি হরবজন সিং এর।