গত প্রায় একমাস ধরেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। প্রথমে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের জোরে বোলার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী হাসিন জাহান, এর পর দেশের সবচেয়ে নামী টেবিল টেনিস তারকা বাংলার সৌম্যজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক নাবালিকা তরুণী, এবার অভিযোগ আরও এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। তিনি ভারতীয় দলের উঠতি তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। তবে শামি, সৌম্যজিৎএর মত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তত গুরুতর নয়। অভিযোগ গুরুতর না হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি এই অলরাউন্ডারের। হার্দিকের বিরুদ্ধে যোধপুর আদালত এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান পুলিশকে। ঠিক কি অভিযোগ উঠেছে পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে? কেন যোধপুর আদালত পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে?
একটি সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে গত ডিসেম্বর মাসে হার্দিক নাকি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট টুইটারে টুইট করেছিলেন বাবা সাহেব আম্বেডকর কে নিয়ে। সেই টুইটে হার্দিক লেখেন, “ কোন আম্বেডকর? সংবিধানের খসড়া যিনি তৈরি করেছেন, নাকি তিনি যিনি দেশে সংরক্ষণের নামে আগুন ছড়িয়ে দিয়েছেন?” এরপরই রাজস্থানের জালোর জেলার রাষ্ট্রীয় ভীম সেনার এক সদস্য তথা আইনজীবী ডিআর মেঘওয়াল রাজস্থান পুলিশের দ্বারস্থ হন পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে।
পুলিশ মেঘওয়ালের কথায় কর্ণপাত না করায় তিনি যোধপুর আদালতে আবেদন করেন পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে। মেঘওয়াল তার আবেদনে জানান, “ পাণ্ডিয়ার মত জনপ্রিয় ক্রিকেটারের এই ধরণের মন্তব্য দেশের সংবিধান এবং সংবিধান রচয়িতাকে অসম্মানিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আম্বেদকর যে পিছিয়ে পড়া জাতীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেই সমাজের মানুষের ভাবাবেগকেও আঘাত করেছেন পাণ্ডিয়া। এর জন্যই এই জনপ্রিয় ক্রিকেটারের শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে তিনি যোধপুর আদালতে আবেদন করেছিলেন। এভাবে একের পর এক ক্রীড়াবিদের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় ভারতীয় ক্রীড়া জগতের অনেকেই আশঙ্কার মেঘ দেখছেন।