দিল্লির ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। ফলে বাকি আইপিএলে দিল্লি অধিনায়কত্বের দায়ভার সামলাবেন শ্রেয়স আইয়ার। আইপিএলে নিজেদের সাফল্যের খরা কাটাতে এবারই জানুয়ারিতে নিলামে তাকে কেনে দিল্লির টিম ম্যানেজমেন্ট। এবং সেই সঙ্গে তাকে অধিনায়কও নির্বাচিত করে তারা। কিন্তু তাতেও দিল্লির ভাগ্য পরিবর্তিত হয় নি এবং এখনও পর্যন্ত তাদের ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই হেরে তারা লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে। গম্ভীরের ব্যক্তিগত ফর্মও যথেষ্ট মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মরশুমে। আইপিএলে তাদের প্রথম ম্যাচে একবারই মাত্র ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন গম্ভীর, তারপর থেকে একবারও তিনি দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেন নি। বুধবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ এই মুহুর্তে দল যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়েই আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইয়ার দায়িত্ব সামলাবে। আমার এখনও মনে হয় দল হিসেবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে”।
প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক আরও বলেন, “ অবশ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। (ফ্রেঞ্চাইজির মালিকদের সঙ্গে) আমি নিজে থেকেই মিটিংয়ে বসার কথা বলি।আমার মনে হয়েছে যে আমি যথেষ্ট যোগদান দিতে পারছি না, সেই সঙ্গে দলের পারফর্মেন্সও……… টিমের অধিনায়ক হিসেবে আমাকে দায়িত্ব নিতেই হত। এটাই সঠিক সময় বলে আমার মনে হয়। এখনও এই প্রতিযোগিতায় ভালভাবেই রয়েছি আমরা। সম্পুর্ণই আমার সিদ্ধান্ত এটা, মালিকদের তরফে কোনও চাপ নেই, এব্যাপারে তারা খুবই স্পোর্টিং। আপনার বিবেকই কখনও কখনও জানিয়ে দেয় এটাই সঠিক সময় (সিদ্ধান্ত নেওয়ার)”। এই মুহুর্তে ১১ তম প্লেয়ার হিসেবে দিল্লিকে নেতৃত্ব দেবেন শ্রেয়স আইয়ার। এ ব্যাপারে শ্রেয়স জানিয়েছেন, “ সবেমাত্র আজ দুপুরেই আমি খবরটা পেয়েছি, এবং এখনও বেশি কিছু আমি চিন্তা করি নি এ ব্যাপারে। বিশ্বাস তারা আমার উপর দেখিয়েছেন এবং যে দায়িত্ব তারা আমাকে দেবেন তা সামলাতে আমি আনন্দিত বোধ করব। আমি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পছন্দ করি এবং এটা আমার কাছে দারুণ একটা সুযোগ দলকে যতটা সম্ভব উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার”।