গুজব ছিল যে চেন্নাই সুপার কিংগস তাদের সাবেক ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়নাকে ফের তাদের দলে ফেরাতে কোনোভাবেই আগ্রহী নয়। কিন্তু এখন তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সামনে এসেছে সেই গুজবকে প্রত্যাখ্যান করতে।
এই মরশুমে রায়নার খারাপ ফর্মের জন্যই সেই গুজব জোরদার হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত রায়না ২০১৫য় শেষ কোনো ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে খেলেছেন। গত বছর ফের তিনি জাতীয় দলে ডাক পান নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে। কিন্তু অসুস্থতার জন্য একটা ম্যাচেও খেলতে পারেন নি তিনি। তারপরেও এ বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে দলে ডাক পাওয়া তাকে আশার আলো দেখিয়েছিল, এবং সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তিনি ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষ করেছিলেন ১০৪ করে সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হয়ে। তার কয়েকমাস পরে আইপিএলে দারুণ পারফরমেন্স করে তিনি ফের নিজের জাত চেনান। আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৪৪২ রান করায় তাকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির জন্য স্টান্ড বাই হিসেবও রাখা হয়। যদিও এরপর তিনি আর জাতীয় দলের হয়ে নির্বাচিত হন নি। এই মুহুর্তে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার পারফরমেন্স যথেষ্ট চিন্তাদায়ক। ৪টে রঞ্জি ম্যাচ খেলে তার স্কোর ১০৫ রান করেন, সর্বোচ্চ ৩৩।
তার এই খারাপ ফর্মের জন্যই ধারনা আরও বেশি করে বদ্ধমূল হয়েছে যে যদি তাদের অন্যান্য ফ্রেঞ্চাইজি গুলির সঙ্গে আগামি বছর নিলামে নিজেদের প্লেয়ারদের রেখে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তবে চেন্নাই সুপার কিংগস ফের তাকে দলে নেওয়ার জন্য আগ্রহী নয়। কিন্তু চেন্নাইয়ের এই ফ্রেঞ্চাইজিটি পরিস্কার করে দিয়েছে যে তারা রায়নাকে ফের তাদের শহরে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সম্প্রতি তারা টুইট করেছেন, “চিন্না থালাকে দলে না নেওয়ার ব্যাপারে অনলাইনে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। সে সব বিশ্বাস করবেন না। আমরা আমাদের গর্বকে একসঙ্গে দলে ফেরাতে চাই। ফের গর্জন ভেসে আসছে, হুইসেল পডু”। ২০১৫য় সাসপেন্ড হওয়ার আগে রায়না চেন্নাই সুপার কিংগসের সঙ্গে ২০০৮ এ আইপিএলের শুরুয়াত থেকেই আছেন। এবং দলের হয়ে রায়না ২৬৪৫ রান করেন এবং দু’বার আইপিএল জেতার সঙ্গে সঙ্গে অনেক খেতাব সহ এই মুহুর্তে বাতিল চ্যাম্পিয়ন ট্রফিও জেতাতে সাহায্য করেন তিনি।