শ্রীলঙ্কার ভারত সফর শুরু হতে চলেছে আগামি ১৬ নভেম্বর থেকে, এবং উভয় টিমই একে অপরের বিরুদ্ধে আগের চেয়েও ভালো ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। দুটি টিমের শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল যখন ভারত শ্রীলঙ্কা সফরে যায়। সেই সফরে ভারত শ্রীলঙ্কাকে বিদ্ধস্ত করে সমস্ত ফরম্যাটেই হোয়াইট ওয়াশ করে, এবং পুরো সফরে ৯-০ জয় হাসিল করে। শ্রীলঙ্কা সফরেই শেষ টেস্ট খেলা রবি চন্দ্রন আশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার মত প্লেয়ারদের ভারত ফের তাদের টেস্ট টিমে জায়গা দিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে। নির্বাচকরা জানিয়েছিলেন ওয়ার্ক লোড থেকে রেহাই দিতেই এই দুই স্পিনারকে রেস্ট দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্যই তাদের শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলে রাখা হয় নি।
ওয়ার্ক লোডের ব্যাপারে বিরাট কোহলি জানিয়েছেন, “ ওয়ার্ক লোড নিয়ে কথা বলা ভীষণ কঠিন। প্লেয়ারদের বিশ্রাম দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে অনেক কথাই বলা যায়। বাইরে থেকে মনে হয় কেনো লোকেরা বিশ্রামের জন্য জিজ্ঞাসা করছে। সকলেই সম সংখ্যক ম্যাচে খেলেছে। কিন্তু এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে যত ম্যাচ আপনি খেলেছেন তাতে সকলেরই সমান ওয়ার্ক লোড থাকে না। আমরা এখনও পর্যন্ত ২০-২৫ জনের একটি শক্তিশালী কোর টিম তৈরি করেছি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনি কখনোই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের হারাতে চাইবেন না। যেখানে যখন প্রয়োজন সেখানে ব্যালেন্স রাখা প্রয়োজন। তিনটি ফরম্যাটের খেলায় যে কোনো খেলোয়াড়ের পক্ষেই একই ধরনের ইনটেন্সিটি বজায় রাখা মানবিকভাবে অসম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই আমারও বিশ্রামের প্রয়োজন। যখন আমার মনে হবে আমার শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন আমি বিশ্রাম চেয়ে নেব। আমি রোবোট নই, যদি আপনি আমার চামড়া কাটেন তাহলে আমার রক্ত বেরবে”। এই মুহুর্তে ঘরের মাটিতে ভারতীয় দল দারুণ খেলে চলেছে। ২০১৫য় সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে শেষ ওয়ান ডে সিরিজে হারার পর থেকে এখনও পর্যন্ত একটাও সিরিজের হারেনি তারা। এই মুহুর্তে ভারতীয় দল টেস্টে এক নম্বর পজিশনে আছে, এবং ওয়ান ডে তে যুগ্মভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে বিরাট জানিয়েছেন, “এটা আমাদের জন্য আরও একটা সিরিজ, সকলেই জানে আমরা এখন প্রচুর ক্রিকেট খেলছি।
এটা পুরোটাই নিজেদেরর এনার্জি লেভেল ধরে রাখার জন্য ভালো প্রস্তুতি এবং ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যাপার। অহেতুক অত্যাধিক পরিমান এসবের প্রয়োজন নেই, কারণ এটা ভীষণই খারাপ একটা অভ্যেসে পরিণত হতে পারে। যখন আপনি জানেন যে আপনি ভালো খেলছেন এবং একটা ভালো জোনে আছেন, এবং সেই সময় ওভার প্র্যাক্টিস আপনার মনোসংযোগ নষ্ট করে দিতে পারে”। ৩ জনের মধ্যে থেকে ওপেনিং স্লটের জন্য ২জনকে পছন্দ করার উভয় সংকটের ব্যাপারে বিরাট জানিয়েছেন, “

এখন চারদিকেই ভারসাম্য বজায় রয়েছে, এবং তারপর যখন দু’জন ভালো খেলছে আর তাদের মধ্যে থেকে একজনকে বসিয়ে দেওয়া এরকমটা প্রাথমিকভাবে কে এল রাহুলের সঙ্গে হয়েছে, তারপর এটা শিখরের সঙ্গেও হয়। এই মুহুর্তে রাহুল এবং শিখর দারুণ খেলছে, এবং ৩ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে থেকে দু’জনকে বেছে নেওয়া ভীষণই কঠিক কাজ। ওরা ৩ জনই দুর্দান্ত, এবং তারা সত্যিই এতদিন ভালো খেলে এসেছে। আমি মনে করি ওপেনার হিসেবে শিখরের ফিরে আসাটা ওর জন্য এবং দলের জন্য দারুণ কাজে দিয়েছে। ওর কাউন্টার অ্যাটাকিং দক্ষতা এমন একটা পর্যায়ের যা সমস্ত ব্যাটসম্যানের জন্য একটা ভিত তৈরি করে দেয় যার উপর দাঁড়িয়ে তারা এগোতে পারে, এবং বিরোধী দলকেও একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয় যাতে তারা ওর জন্য নতুন করে আলাদা স্কিল সেট এবং আলাদা শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।