ব্যাঙ্গালুরু উইনিভার্সিটির মহিলা ক্রিকেটে ১৯ বছর বয়েসি ক্রিকেটার সিমরান হেনরি রেকর্ড বুকে নাম তুলে ফেললেন একটি ম্যাচে হায়েস্ট রান করে। সাউথ জোন ইন্টার উইনিভার্সিটি ওম্যান ক্রিকেটে টুর্নামেন্টে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে পন্ডিচেরির বিরুদ্ধে তিনি মাত্র ৭২ বলে ১৫৪ রান করেন। ব্যক্তিগত রেকর্ডের পাশাপাশি তিনি ওই ম্যাচেই মাউন্ট কারমেল কলেজের স্টুডেন্ট মনীষার সঙ্গে জুটি বেঁধে ২৪১ রানের হায়েস্ট পার্টশিপের রেকর্ডও করেন। এ প্রসঙ্গে সেন্ট জোসেফ কলেজ অফ কমার্স কলেজের ছাত্রী মনীষা বলেন, “ অন্যান্য ম্যাচের মত এই ম্যাচেও আমি ওপেন করি। আমার গত দুটো ম্যাচের পারফরমেন্স আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। আদিকাভি নান্নায়া ইউনিভার্সিটির(এপি) বিরুদ্ধে ১০৭ রান এবং থিরিভাল্লুভার ইউনির্ভাসিটি (ভেলোর)র বিরুদ্ধে ৮২ রানের ইনিংস খেলি আমি। তা সত্ত্বেও আমি বলব না যে আমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসি ছিলাম, কিন্তু ওই দুটি ইনিংস এই ম্যাচে আমাকে সেটল হতে ভরসা যুগিয়েছিল। একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর রান আসতে শুরু করে। আমি ৩টে ৬ এবং প্রায় ১৮টির মত চার মারি। আমার সঙ্গী মনীষাও আমাকে ভালো সহযোগিতা করেছে। এটা অবশ্যই একটা স্পেশাল ইনিংস আমার জন্য”। মাত্র ৯ বছর বয়েসে ক্রিকেট খেলতে শুরু করা সিমরান নিজের রাজ্যে প্রায় সমস্ত এজ গ্রুপের টিমের হয়েই খেলেছেন। যেমন আন্ডার ১৬, আন্ডার ১৯, এবং আন্ডার ২৩ টিম। এবং বর্তমানে তিনি রাজ্য রঞ্জি দলেরও সদস্য। তার বাবা হেনরি অ্যান্টনিও রাজ্যস্তরের ক্রিকেটার ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি একজন ক্রিকেট কোচ। রঞ্জি ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মেনে নেন যে এই ধরনের খেলায় রান করা ভীষণই কঠিন।
তিনি বলেন, “ তার মানে এই নয় যে ইউনিভার্সিটির ম্যাচ গুলি খুবই সহজ। ইউনিভার্সিটির খেলাগুলিতেও বেশ কিছু ভালো প্লেয়ার রয়েছে যারা নিজেরাও রাজ্য দলের খেলোয়াড়। আমি প্রত্যেকটা বলকেই তার মেরিট অনুযায়ী খেলি তা সে রঞ্জি ম্যাচই হোক বা ইউনিভার্সিটির ম্যাচ।
এই বছরের প্রথম দিকে মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯ রানে ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের নায়োকোচিত হার নিয়েও ইতিবাচক কথা বলেন তিনি। তা সত্ত্বেও তার মনে হয় যে এখনও পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে এখনও বিশাল অসমতা রয়েছে। ভারতীয় মহিলা দলের আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় হরমনপ্রীত কৌর এবং ভেদা কৃষ্ণমূর্তিকে সিমরণ নিজের রোল মডেল হিসেবে দেখেন। পুরুষদের ক্রিকেটে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং সাউথ আফ্রিকার এবি ডেভিলিয়ার্সে খেলা তাকে অনুপ্রাণিত করে।