ক্রিকেট কেরিয়ারে বহু উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই গিয়েছেন বরোদা জাত ভারতীয় দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। শুধু যে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারেই তা দেখেছেন তা নয় ঘরোয়া ক্রিকেটেও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এই জোরে বোলার। এতটাই যে গত মরশুমে তাকে বরোদা রাজ্য দলের অধিনায়ক করার পরও মাত্র দুটি ম্যাচের পরেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই মুহুর্তে ভারতীয় দলের আশেপাশেও দেখা যাচ্ছে না তাকে। আসন্ন আইপিএল মরশুমেও তার প্রতি কোনও ফ্রেঞ্চাইজিই সেভাবে আগ্রহ দেখায় নি। ফলে এই আইপিএলে দল পাননি তিনি। ফলে তার আইপিএল কেরিয়ারও পড়ে গেছে প্রশ্নের মুখে। তবে আইপিএলে দল না পেলেও ইএসপিএনের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে আইপিএলে কাজ করবেন তিনি। তবে ইরফান দল না পেলেও তার দাদা ইউসুফ নিলামের শেশ দিনে দল পেয়ে যান। নিজের রাজ্য দলের পাশাপাশি আইপিএল থেকে ব্রাত্য ইরফান আগামি মরশুমে জম্মু কাশ্মীর রাজ্য দলের হয়ে মেন্টর কাম প্লেয়ার হিসেবে কাজ করবেন।
আগামি মরশুমে তাই জম্মু কাশ্মীরের রঞ্জি দলে যোগ দিচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। ইরফান কাশ্মীরের সোনওয়ার জেলার শের ই কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলের সঙ্গে যোগ দেন। আগামি মরশুমে তিনি সমস্ত জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ক্রিকেটের মাহাত্ম্য বাড়াতে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকেও সাহায্য করবেন তিনি। জম্মু কাশ্মীর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার হয়ে বেশ কিছু কোচিং সেন্টারেরও দেখভাল করবেন তিনি ওই রাজ্যে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে। ইরফানকে কাশ্মীরে আনতে জে অ্যান্ড কে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং জেকেসির সিইও সৈয়দ আশকি হোসেন বুখারি যথেষ্ট কাঠখড় পোড়ান। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত তরুন ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালান ইরফান। তাদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় ইরফান জানান, “ আমি এখানে এসেছি তোমাদের জন্য। আমি লুকিয়ে থাকা প্রতিভা খুঁজতে এই রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলোতেও যাব। জম্মু কাশ্মীরের ক্রিকেটের উন্নতি করাই আমার প্রধান কাজ প্লেয়ার এবং মেন্টর হিসেবে। আমার তরফ থেকে তোমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হল সবসময় জেতার অ্যাটিটিউড নিয়ে খেলবে। যার যতটা ক্ষমতা রয়েছে সেটুকু দিয়েই দলকে জেতাবার চেষ্টা করবে। একটা সেঞ্চুরি বা কিছু উইকেট পাওয়াটা ব্যাপার নয়, খুব সামান্য সাহায্যও দলকে জেতাতে সাহায্য করতে পারে”।
প্রসঙ্গত আগামি এক বছর ইরফান জম্মু কাশ্মীরের হয়ে খেলবেন। ক্রিকেটকে জম্মুকাশ্মীরের প্রধান খেলা হিসেবে তুলে ধরতে স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য করবেন তিনি। এই দলের কোচ কাম প্লেয়ার হিসেবে ক্রিকেটের মান বাড়াতে সাহায্য করা ইরফান জানান, “ আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই আমরা কাজ করতে শুরু করে দিয়েছি। খুব দ্রুতই আমরা কাজের গতি বাড়াব। জম্মু কাশ্মীরে বহু প্রতিভা রয়েছে, শুধু দরকার তাদের সঠিক প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বাড়তে সাহায্য করা। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল রাজ্যের সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে মিলে আমাদের কাজের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করা”।