এখনও পর্যন্ত এই মরশুমের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বেশ ভালই কাটছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের। এই মরশুমেই তারা ফিরে এসেছে স্পট ফিক্সিং কান্ডে দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে। শুধু তাই নয় এখনও পর্যন্ত চলতি প্রতিযোগিতার প্রথম সপ্তাহ শেষে তারা তাদের তিন তিনটি রুদ্ধশ্বাস জয়ও ছিনিয়ে নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে হলুদ জার্সিধারিরা যথেষ্টই দারুণ সময় কাটচ্ছে। যদিও এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে সিএসকে টিম ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে বহু লোকই ঠাট্টা তামাশা করেছেন তাদের দলে শুধুমাত্র সিনিয়র প্লেয়ারদের জায়গা দেওয়ার জন্য। যদিও চেন্নাই সুপার কিংস দলে দীপক চহার, শার্দূল ঠাকুর, এবং লুঙ্গি এনগিডির মত তরুণ প্লেয়ারদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। আবার অন্য দিকে রয়েছেন এমএস ধোনি, হরভজন সিং, শেন ওয়াটসন, ইমরাণ তাহির, আম্বাতি রায়ডু, ফাফ দু’প্লেসির মত সিনিয়র তারকারাও।
যাদের অত্যাধিক পরিমাণ উপস্থিতিই সকলের চোখ টেনে নেয়। তবে এই মুহুর্তে তাদের পারফর্মেন্সের বিচারে টুর্নামেন্ট যেমন চলছে তাতে যোগ্য জবাব পেয়ে মুখ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন সমস্ত সমালোচকরাই। ফলে চিত্রনাট্য বদলে গিয়ে অভিজ্ঞতার দাম দেওয়ায় সকলেই টিম ম্যানেজমেন্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তবে বাস্তব এটাই যে তারা সিনিয়র প্লেয়ারদের গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তরুণ ব্রিগেডের দিকেও যথেষ্ট সতর্ক নজর রেখেছিলেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই তাদের নিলাম থেকেও কিনেছেন তারা। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তাদের তরুণ প্লেয়ার দলের রাখার রণনীতির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা নিলামে কিনে নিয়েছিল তরুণ প্রোটিয়া জোরে বোলার লুঙ্গি এনগিডকে। কিংবদন্তী পরিপূর্ণ এমন একটা দলের সদস্য হতে পারা তার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতই। তাছাড়া গত এক বছরের মধ্যেও নিজেকেও দারুণভাবে তুলে এনেছেন এই তরুণ জোরে বোলার।
গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে নিজের স্বপ্নের অভিষেক ঘটিয়েছিলেন এগিডি। নিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই তিনি ভারতের ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। যা তাকে এনে দেয় তার প্রথম আইপিএল চুক্তি। তবে তার উঠে আসার রাস্তাটা এতটাও গোলাপ ময় ছিল না। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নিজে উঠে আসার সংগ্রামের কথাই তুলে ধরেছেন এই তরুণ প্রোটিয়া জোরে বোলার। তিনি জানিয়েছেন এক সময় জীবন ধারণের জন্য তাকে রাস্তার ধারে চিনাবাদামও বিক্রি করতে হয়েছে। নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে এগিডি লেখেন, “মজাদার তথ্য: সেই সময় এমন একটা সময় ছিল যখন রাস্তার ধারে আমার দাদা আর আমি বসে চিনাবাদাম বিক্রি করতাম”। এই মুহুর্তে আইপিএল ছেড়ে এই জোরে বোলার দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছেন বাবার মৃত্যুর জন্য।