অবশেষে এই মরশুমে তাদের প্রথম জয় হাসিল করল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে ৪৬ রানে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুরকে হারিয়ে। এইদিন টসে জিতে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে ইনিংসের শুরুতেই প্রথম দুটি উইকেট হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স চাপে পড়ে যায়। সেখান থেকে ৬৬ বলে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং এভিন লুইস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে মুম্বাই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র বিরাট কোহলি ছাড়া আর কেউই আরসিবি ইনিংসে আর কেউ দাঁড়াতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক বিরাট ৯২ রানে অপরাজিত থাকলেও অন্যদিক থেকে কোনও সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের ইনিংস শেষে হয় ১৬৭/৮ রানে। একবার দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচের পরিসংখ্যানগত তথ্যাবলী।
পরিসংখ্যানগত তথ্যাবলি:
১— টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি দু দলের অধিনায়কই এক ম্যাচে ৯০ বা তার বেশি রান করলেন। আগে ব্যাট করে রোহিত শর্মা ৯৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি।
২— আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে ইনিংসের প্রথম দুটি বলে দুই উইকেট হারায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এর আগে ২০১১য় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেন্নাই সুপার কিংসও তাদের ইনিংসের প্রথম দুটি বলে দুটি উইকেট হারিয়েছিল।
৫— ওয়ংখেড়েতে অনুষ্ঠিত পাঁচটি আইপিএল ম্যাচে এটিই মুম্বাইয়ের প্রথম জয়। এছাড়াও এটি ধারাবাহিকভাবে আরসিবির বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের পঞ্চম জয়।
৫— সূর্যকুমার যাদব একটি আইপিএল ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হওয়া পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান। এর আগে যে চারজন ব্যাটসম্যান প্রথম বলে আউট হয়েছেন তাদের মধ্যে শেষ ব্যাটসম্যান ছিলেন উন্মুক্ত চন্দ। ২০১৩ মরশুমে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
৫১— জসপ্রীত বুমরাহ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এই ম্যাচে আইপিএলে তার ৫০ তম উইকেট নিলেন। এছাড়াও এই ম্যাচটি আইপিএলে বুমরাহের ৫১তম ম্যাচ।
৯২*– অসফল রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৯২ রান যে কোনও অধিনায়কের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৬য় অসফল রান তাড়া করতে নেমে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুরলী বিজয়। এ ছাড়াও রান তাড়া করতে নেমে কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস হিসেবে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংসটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে অসফল রান তাড়া করতে নেমে ২০১০ এ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নমন ওঝা।
৯৪— এই ম্যাচে রোহিত শর্মার ৯৪ রানের ইনিংসটি ওয়াংখেড়েতে রোহিত শর্মার করা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এছাড়াও আরসিবির বিরুদ্ধে খেলা রোহিতের ৭টি ইনিংসের মধ্যে এটি তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।
১৭৯— আইপিএলে এখনও পর্যন্ত এত সংখ্যক ছয় মেরেছেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে সর্বোচ্চ ছয় মারার ক্ষেত্রে ক্রিস গেইলের (২৬৯) পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও এই ম্যাচে রোহিতের মারা প্রথম ছয়টি এই টুর্নামেন্টের ২০০ তম ছয়।
৫০১৮— এই ম্যাচে ব্যক্তিগত ৩২ রান করার সঙ্গে সঙ্গেই আরসিবির হয়ে টি২০ ফর্ম্যাটে ৫০০০ রান পূর্ণ করেন বিরাট। এছাড়াও আইপিএলে সুরেশ রায়নাকে (৪৫৫৮) পেছনে ফেলে আইপিএল সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়ে যান বিরাট।