
Photo by Faheem Hussain / IPL/ SPORTZPICS
গত দশ বছর ধরেই গ্ল্যামার এবং তার চমকধমকের জন্যই পরিচিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এই প্রতিযোগিতায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে তারকাখচিত উদ্বোধনী সমারোহ, সিনে তারকাদের জন্য তাদের প্রিয় দলকে সাপোর্ট করতে মাঠে থাকা, এবং চিয়ারলিডারদের নিজের নিজের ফ্রেঞ্চাইজির খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য নাচনকোঁদন। তবে এতদিন যা দেখা গিয়েছে এই পয়সাবহুল প্রতিযোগিতায় এখন থেকে আর দেখা যাবে না তা। চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু নিয়েছে এক অভিনব সিদ্ধান্ত। এবার থেকে আর ছোট পোষাক পরা মহিলা চিয়ারলিডারদের দেখা যাবে না তাদের ম্যাচে। বিজয় মালিয়া এই ফ্রেঞ্চাইজির মালিকানা থেকে সরে যাওয়ার পরেই তারা এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবেন। এর আগের মরশুমগুলিতে তারা ওয়াশিংটন রেডস্কিন চিয়ারলিডিং দল থেকে হোয়াইট মিসচিফ গার্লদের ভাড়া করত।
তাহলে কারা চিয়ার করবে বিরাটোদের জন্য?
ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে তাদের পরের ম্যাচ থেকেই স্বল্প পোষাকের চিয়ার লিডার মহিলাদের থাকা বন্ধ করছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তারা? আরবিসির তরফে জানানো হয়েছে ভারতীয় দর্শকদের লিঙ্গ সম্পর্কিত ধ্যানধারণা বদলানোর জন্যই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরসিবির প্রধান অমৃত থমাস জানিয়েছেন, “আমাদের লিঙ্গ নিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মহিলা এবং পুরুষ দু’পক্ষেরই প্রতিনিধিত্ব করা দরকার”। আরবিসির তরফে আরও জানানো হয়েছে যে এবার থেকে আর শুধুমাত্র খোলামেলা পোষাকের মহিলারা থাকবেন না তাদের চিয়ারলিডিং দলে। তার বদলে থাকবেন সমান সংখ্যার পুরুষ এবং মহিলারা। তবে তাদের পরণে থাকবে না কোনও খোলামেলা পোষাক। বরং তার বদলে এরা সকলেই ওয়েলশ প্রাইভেটিয়ার ক্যাপ্টেন জেমস মর্গ্যানের মত পোষাক পড়বেন। সেই সঙ্গে তাদের হাতে থাকবে হিন্দি, কন্নড় এবং ইংরেজিতে জনপ্রিয় প্রবাদ লেখা ব্যানার। খেলা চলাকালীন তারা দর্শকদের জোরে জোরে সেই প্রবাদগুলি পড়ার জন্য অনুরোধ করবেন দলকে উৎসাহিত করার জন্য।
চিয়ারলিডারদের ধারণা আমেরিকার কাছ থেকে ধার করা
আরবিসির নতুন কর্ণধার অমৃত থমাস নারী পুরুষদের লিঙ্গ নিরপক্ষেতার ঘোর বিশ্বাসী। আর সে কারণেই তিনি ম্যাচ চলাকালীন দলকে চিয়ার করার জন্য শুধুমাত্র মেয়েদের ভাড়া করার ঘোর বিরোধী। তিনি বলেন যে এই চিয়ার গার্লদের ভাড়া করার ধারণাটি আমেরিকার কাছ থেকে ধার করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইভাবে মেয়েদের দিয়ে দলকে চিয়ার করানোটা একটা শিল্পে পর্যবসিত হয়েছে। যা একেবারেই ভারতীয় ধ্যানধারণার সঙ্গে মানানসই নয়। এখানে কখনও কখনও মহিলাদের পণ্যবস্তু হিসেবে দেখানো হয়ে থাকে।