প্লে অফে নিজেদের আশা জিইয়ে রাখার জন্য এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের জন্য। কিন্তু শুরু থেকেই বৃষ্টি নামার পূর্বাভাষ ছিল এই ম্যাচ ঘিরে। ফলে প্রথমে টসে জিতে এই ম্যাচে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নামেন কলিন মুনরো এবং পৃথ্বী শ। মুনরো দ্রুত আউট হয়ে গেলেও পৃথ্বী এবং ঋষভ পন্থ দিল্লির ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এরপরই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর খেলা শুরু হলে ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ১৮ ওভারে। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকে তরুণ পৃথ্বী। তিনি মাত্র ২৫ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। এরপরই ঋষভের সঙ্গে ক্রিজে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। এই দুজনে মিলে বিধ্বংসী মেজাজে দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
যেখানে ৩৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আইয়ার সেখানে ফর্মে থাকা ঋষভ করেন ২৯ বলে ৬৯ রান। মূলত এই দুজনের সৌজন্যেই ১৭.১ ওভারে দিল্লির রান দাঁড়ায় ১৯৬ রান। ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাজস্থানের ব্যাট করতে নামতে দেরী হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শুরু করা গেলেও রাজস্থানের ওভার কমে দাঁড়ায় ১২। ডাকওয়ার্থলুইস পদ্ধতিতে রাজস্থানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫১ রান। রাজস্থানের দুই ওপেনার জোস বাটলার এবং শর্ট দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে শুরু থেকেই দিল্লির বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করেন। এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে ৮০ রান তুলে দেন।
কিন্তু শেষ দিকে দিল্লির বোলাররা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত রাজস্থান দিল্লির লক্ষ্য থেকে মাত্র ৪ রান দূরেই থেমে যায়। এই ম্যাচ জিতে প্লে অফে যাওয়ার জন্য আশান্বিত দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, “ এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়। উইকেট যথেষ্ট ভাল ছিল এমনকী ২০০ রানও কম হয়ে যেত, বোলাররা নিজেদের নার্ভ ধরে রেখেছে এবং আমরা বেশ দারুণভাবেই ম্যাচে ফিরে এসেছি। আমি ক্যাচ ফেলেছি, কিন্তু আমরা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। পৃথ্বী দারুণ শুরু করেছিল, এবং মাঝখানে ঋষভের ভূমিকাই ছিল মুখ্য। সমস্ত ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পন্থ খুব পজিটিভ প্লেয়ার, এবং ড্রেসিংরুমে কেউই নেগেটিভ চিন্তা করছে না। ছোটো মাঠে বল করা খুবই কঠিন, এটা সত্যিই কন্ট্রোল করা কঠিন যখন ব্যাটসম্যানরা বল মারতে শুরু করে”।
গোটা আইপিএলেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন দিল্লির মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। এই ম্যাচেও তার দুরন্ত ইনিংসের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঋষভ বলেন, “এটা আমার জন্য বেশ ভালই গিয়েছে। জয়টাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিটেন করার জন্য আলাদা করে কোনও বাড়তি দায়িত্ব ছিল না। আমি কিছু আলাদা ট্রিক্স ব্যাবহার করেছি বোলারদের আক্রমণ করার জন্য। আমাদের পজিটিভ থাকতে হবে কারণ আমরা জানি যে যদি আর একটাও ম্যাচ আমরা হারি তাহলে এই প্রতিযগিতা থেকে আউট হয়ে যাব। আমাদের প্রতিটা ম্যাচেই এই অভিপ্রায় রেখেই খেলতে হবে”।
আইপিএল ২০১৮: আমি ক্যাচ ফেললেও ম্যাচ জিতেছি: শ্রেয়স আইয়ার
