আইপিএলের ২২ গজে চলে ব্যাটে বলের উত্তেজক লড়াই। বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যান তা সে বিরাট কোহলি হোক বা ক্রিস গেইল অথবা ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা, তার যখন উইলোর মারে বলকে মাঠের বাইরে পাঠান তখন নিরন্তর ভাবে মাঠের ধারে নিজেদের কাজ করে যান এই সুন্দরী চিয়ার লিডাররা। আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক তারা। ক্রিকেট আইপিএলের লাস্যময়ী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তারা। তাদের উপস্থিতিতেই আইপিএল হয়ে হঠে লাস্যময় আবেগের খেলা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আই মোহময়ী চিয়ার লিডারদের আইপিএল অভিজ্ঞতা কেমন? তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনলে ঝটকা লাগতে পারে ভারতীয়দের। আর এই আইপিএলকে ঘিরে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তারা খোলাখুলিই জানিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে। নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের আইপিএলের পোষাক, আইপিএল নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, সব কিছুই খোলাখুলি জানিয়েছেন তারা ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক এক চিয়ার লিডার জানিয়েছেন, “ যখন কোনও মহিলা নৃত্য শিল্পী প্রাশ্চাত্যে নাচেন তখন এখানকার মত তার পোষাক বা শরীর নিয়ে কেউই ভাবে না। মহিলা চিয়ারলিডারদের এদেশে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে দেখা হয়”। অন্য এক চিয়ারলিডার আরও বিস্ফোরকভাবে ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবেই আমি এই টুর্নামেন্টের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি আমাকে এখানে যৌন পণ্য হিসেবেই দেখানো হয়”। প্রায়ই ভারতীয় দর্শকরা তাদের যৌন ইঙ্গিত করে থাকেন।
ভারতীয় দর্শকদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক চিয়ার লিডার ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “ অনেকেই মাঠে এমন অঙ্গভঙ্গি করে যে মন্তব্য না করে সহজে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তখন এড়িয়ে যেতে বাধ্য হই। তাদের ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতেই দেখি আমরা”। আইপিএল নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা এতটাই ভয়ংকর যে তারা উঠতি মডেলদের এই পেশা থেকে দূরে থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন। ওই চিয়ারলিডারদের একজন জানিয়েছেন, “ কেউ যদি চিয়ার লিডার হতে চায় তাহলে তার উচিৎ অবশ্যই নাচের তালিম নেওয়া। কারণ যদি এই পেশা তাকে হতাশ করে তাহলে তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবেই নিজের জীবন চালাতে পারবেন”।
প্রসঙ্গত এর আগে আইপিএলে উঠেছিল বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগ। অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন ছোটো ছোটো পোষাক পরে এই চিয়ারলিডারদের নাচের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এই চিয়ারলিডাররা মেনে নিচ্ছেন আইপিএলে এখনও পুরো মাত্রায় রয়েছে বর্ণ বিদ্বেষ। এই মুহুর্তে ধর্ষণ দিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠেছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়েও। কিন্তু সাধারণ মানুষই যদি না বদলায় তাহলে সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে দোষ দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। প্রয়োজন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর যা কার্যত জানিয়েই দিয়েছেন ওই চিয়ার লিডাররা।