M. A. Chidambaram Stadium (এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়াম)

এম. এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম (M.A Chidambaram Stadium)-

তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা- তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (TNCA)

মাঠের পরিমাপ- ৬১-৭০ মিটার (স্কোয়্যার বাউন্ডারি), ৭৫-৭৮ মিটার (স্ট্রেট বাউন্ডারি)

হোম টিম- ভারত, তামিলনাড়ু, চেন্নাই সুপার কিংস

দর্শকধারণ সক্ষমতা- ৩৮২০০

প্রতিষ্ঠা- ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দ

ঠিকানা- 1, Wallahjah Rd, Chepauk, Triplicane, Chennai, Tamil Nadu 600002

লোকেশন- https://maps.app.goo.gl/6M7g758heZnWZm3m6

এম.এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম সম্পর্কে কিছু কথা-

১৯১৬ সালে চেন্নাই (তৎকালীন মাদ্রাজে) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো চেপক স্টেডিয়াম। ১৯৮৬ সালে নাম বদল করা হয় এই মাঠের। প্রাক্তন বিসিসিআই প্রধান এম এ চিদাম্বরমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর নামেই নামাঙ্কিত করা হয় স্টেডিয়ামের। কিন্তু আজও চেপক নামেই সমাদৃত মেরিনা সমুদ্র সৈকতের তীরবর্তী এই মাঠটি। ১৯৩৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিলো চেপকে। টেস্টের ময়দানে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও ইংল্যান্ড। ভারতের মেয়েরাও ১৯৭৬ সালে তাদের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিলো চেন্নাইয়ের মাঠে। আন্তর্জাতিক আঙিনায় সাদা বলের ক্রিকেটের সাথে চেপকের পরিচয় হয় ১৯৮৭ সালে।  এখানে বসেছিলো ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর। ১৯৯৬, ২০১১, ২০২৫-ভারতে এরপর যখনই বিশ্বকাপ হয়েছে, ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামকে। প্রথম টি-২০’র আসর বসেছিলো ২০১২ সালে। মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

এম.এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্ট্যান্ডগুলি-

• সি স্ট্যান্ড
• ডি স্ট্যান্ড
• ই স্ট্যান্ড
• এফ স্ট্যান্ড
• আই স্ট্যান্ড
• জে স্ট্যান্ড
• কে স্ট্যান্ড
• কালাইঙ্গার করুণানিধি স্ট্যান্ড (তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. করুণানিধি’র নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডটি উদ্বোধন হয় ১৭ মার্চ, ২০২৩ সালে)

এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম ঘটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা-

• ১৯৩৪ সালে দেশের মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলো টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজে ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো চেপক স্টেডিয়াম।
• ১৯৩৪ সালের ৪ নভেম্বর মাদ্রাজ বনাম মহীশূর ম্যাচটি দিয়ে পথচলা শুরু করে রঞ্জি ট্রফি। সেই ম্যাচটি আয়োজিত হয়েছিলো চেপকে।
• ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে চেপক স্টেডিয়াম। ১৯৫২ সালে এখানেই টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার জয়লাভ করেছিলো ‘মেন ইন ব্লু।’ প্রতিপক্ষ ছিলো ইংল্যান্ড।
• ১৯৮৬ সালে চেন্নাইতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি টেস্ট টাই হয়েছিলো। ক্রিকেট ইতিহাসে সেটি ছিলো ‘টাই’ হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ।
• ১৯৮৩তে এই মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ৩০তম শতরানটি করেন সুনীল গাওস্কর। ডন ব্র্যাডম্যানকে পেরিয়ে সেই সময় পুরুষদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টেস্ট শতকের মালিক হয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার।’
• ১৯৮৮ সালে চেপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৬১ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন নরেন্দ্র হিরওয়ানি। আজ পর্যন্ত অভিষেক ম্যাচে কোনো ভারতীয়ের ক্ষেত্রে এটিই সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। ক্রিকেট দুনিয়ায় হিরওয়ানির অবস্থান তিন নম্বরে।
• ১৯৯৭ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৪ রান করে পাকিস্তানের সৈয়দ আনোয়ার। সেই সময় এটিই ছিলো পুরুষদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর।
• ২০০৮ সালে চেপকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৭৮ বলে ৩১৯ রান করেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর করার নজির গড়েছিলেন ‘নজগফড়ের নবাব।’ ভেঙেছিলেন নিজেরই রেকর্ড। একইসাথে ব্রায়ান লারা ও স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে একাধিক টেস্ট ট্রিপল সেঞ্চুরির নজির গড়েন তিনি। একই টেস্টে ১০০০০ রানের গণ্ডী পেরোন রাহুল দ্রাবিড়’ও।
• ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে চেপকে চতুর্থ ইনিংসে ভারত তোলে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭৮ রান। আজ অবধি এটিই ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
• ২০১২-১৩ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২২৪ রান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে টেস্টে দ্বিশতকের নজির গড়েন তিনি।
• ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৩* রান করেন করুণ নায়ার। শেহবাগের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ত্রিশতকের মাইলস্টোন স্পর্শ করেন তিনি। সেই ম্যাচে.৭৫৯ রান তুলেছিলো ভারত। যা টিম ইন্ডিয়ার সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর।
• ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের মাঠে ২১৮ রান করেন ইংল্যান্ডের জো রুট। কোনো ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ভারতের মাটিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এছাড়া কেরিয়ারের ১০০তম টেস্টে এর চেয়ে বেশী রানের নজির নেই কারও।