IPL 2025: ৫১ কোটি টাকা হাতে জেড্ডার মেগা নিলামে অংশ নিয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন’রা কাদের জন্য ঝাঁপায় সেদিকে নজর ছিলো সকলের। নতুন মুখ হিসেবে দলের সাথে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock), অনরিখ নর্খিয়া, অস্ট্রেলিয়ার স্পেন্সার জনসন (Spencer Johnson), ইংল্যান্ডের মঈ আলি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোভম্যান পাওয়েল, ভারতের উমরান মালিক। মূলত ‘চ্যাম্পিয়ন’ স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের ধরে রাখার পথেই হেঁটেছিলো তারা। ভেঙ্কি মাইশোররা ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ফিরিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে (Venkatesh Iyer)। এছাড়া অনুকূল রায়, বৈভব আরোরা, অঙ্গকৃষ রঘুবংশী, রহমানুল্লাহ গুরবাজ’দের মত তারকাদেরও স্কোয়াডে ফিরিয়েছে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রত্যাবর্তনের তালিকায় নাম ছিলো মণীশ পাণ্ডেরও (Manish Pandey)।
Read More: “সঠিক জায়গায় পয়সা ব্যয়…” মুস্তাক আলীতে ঝড় রাহানের, সমাজ মাধ্যমে চর্চা KKR’এর !!
বাদ পড়লেন মণীশ পাণ্ডে-
মিডল অর্ডারে ভরসাযোগ্য মুখ হিসেবে মণীশ পাণ্ডেকে (Manish Pandey) মেগা নিলাম থেকে দলে ফিরিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। জেড্ডায় ৭৫ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে বেগুনি-সোনালী শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটতারকা। কিন্তু আইপিএল শুরুর মাসখানেক আগে তাঁকে নিয়ে চিন্তা বাড়লো ফ্র্যাঞ্চাইজির। কর্ণাটকের বিজয় হাজারে ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় অন্যতম তারকা মণীশ (Manish Pandey)। কর্ণাটকের হয়ে খেলছেন এক দশকেরও বেশী সময়। লিস্ট-এ ক্রিকেটে ১৯২ ম্যাচে করেছেন ৬৩১০ রান। কিন্তু চলতি মরসুমে রঞ্জি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে লাগাতার ব্যর্থতার ফলেই লিস্ট-এ টুর্নামেন্ট থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলতে বাধ্য হলেন নির্বাচকেরা। কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে নতুন মুখেদের জায়গা দিতেই বাদ দেওয়া হয়েছে মণিশকে।
KKR-কে ট্রফি জিতিয়েছেন মনীশ-
২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) দ্বিতীয় আইপিএল (IPL) ট্রফি জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারণ ছিলেন মণীশ পাণ্ডে। কর্ণাটকের ক্রিকেটার সেই বছর ১৬ ম্যাচ খেলে ৪০১ রান করেছিলেন। এর মধ্যে ফাইনালের ইনিংসটির কথা আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়। পাঞ্জাব কিংসের (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব) বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীর মাঠে জ্বলে উঠেছিলেন মণীশ। প্রথমে ব্যাটিং করেছিলো পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। ঋদ্ধিমান সাহা’র (Wriddhiman Saha) দুর্দান্ত ১১৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে তারা স্কোরবোর্ডে তোলে ১৯৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নামা নাইটরা (KKR) শুরুতেই হারিয়েছিলো রবিন উথাপ্পা’কে। গৌতম গম্ভীর, শাকিব আল হাসানরাও বিশেষ রান পান নি সেদিন। কিন্তু ৫০ বলে ৯৪ রান করে হাতের মুঠো থেকে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ কলকাতাকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন সেদিন মণীশ পাণ্ডেই। ফাইনালে ম্যাচের সেরাও হন তিনিই।
মণীশ পাণ্ডের IPL কেরিয়ার-
প্রথম মরসুম থেকেই আইপিএলে (IPL) অংশ নিয়ে আসছেন মণীশ পাণ্ডে। ১৭১ ম্যাচে করেছেন ৩৮৫৬ রান। ২০০৮-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনটি ম্যাচে। তবে নজর কেড়ে নেন ২০০৯-এ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) জার্সি গায়ে শতরান করেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে শতরানকারী প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার তিনিই। এরপর যান পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়াতে। ২০১৪-এ যোগ দেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে (KKR)। বেগুনি-সোনালী জার্সিতেই কেরিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন তিনি। ফাইনালের অনবদ্য ইনিংস ছাড়াও একাধিক সাফল্য দলকে এনে দিয়েছেন ব্যাট হাতে। ২০১৮ থেকে ২০২১ অবধি তিনি ছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে। এরপর ২০২২-এ লক্ষ্ণৌ ও ২০২৩-এ দিল্লী ক্যাপিটালস দলে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০২৪ সালে ফের মণীশকে দলে ফেরায় কলকাতা। ২০২৫-এও নাইট জার্সিতেই দেখা যাবে তাঁকে।