আগামী বছরের ১৪ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে আইপিএলের (IPL) আঠারোতম মরসুম। তার আগে বসেছিলো মেগা নিলামের আসর। সৌদি আরবের জেড্ডা শহরে আসন্ন মরসুমের জন্য নতুন করে দল গুছিয়ে নিলো দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিবারের মত এবারও টাকার বৃষ্টি চোখে পড়লো অকশনে। ভাঙলো পুরনো সব রেকর্ড। এতদিন আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামী ক্রিকেটার ছিলেন মিচেল স্টার্ক। নাইট রাইডার্স ২৪.৭৫ কোটির বিনিময়ে দলে নিয়েছিলো তাঁকে। এবার তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। লক্ষ্ণৌ ২৭ কোটি খরচ করেছে ঋষভের জন্য। ২৬.৭৫ কোটিতে পাঞ্জাব কিংসে গিয়েছেন শ্রেয়স। নিলামের সুপারস্টারদের তালিকায় ভেঙ্কটেশ আইয়ার’ও। ২৩.৭৫ কোটিতে কলকাতায় রয়ে গেলেন তিনি।
Read More: IND vs AUS: “পরাজয় নিশ্চিত…” দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত কামব্যাক অস্ট্রেলিয়ার, সমাজ মাধ্যমে ট্রোলের মুখে টিম ইন্ডিয়া !!
বিশাল দাম পেতেন বাবর, বলছেন শোয়েব-
আইপিএলের (IPL) দরজা বন্ধ পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য। দূর থেকেই বিশ্বসেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের উত্তাপের আঁচ পোয়াতে হয় তাঁদের। বাবর, রিজওয়ানরা (Muhammad Rizwan) সুযোগ না পেলেও টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা কিছুমাত্র কম নয় ওয়াঘা সীমান্তের ওপারে। তারকা খেলোয়াড়রাও মাঝেমধ্যেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে থাকেন। জেড্ডা অনুষ্ঠিত হওয়া মেগা নিলামের খবর ছড়িয়ে ইতিমধ্যে পড়েছে পড়শি দেশের সংবাদমাধ্যমেও। যদি পাক ক্রিকেটাররা নিলামে নাম লেখানোর সুযোগ পেতেন তাহলে কত উঠতো দর? চলছে হিসেবনিকেশ। এহেন প্রশ্ন করা হয়েছিলো শোয়েব আখতারকে (Shoaib Akhtar)। বিশ্বের দ্রুততম পেসার জানান বাবর আজমের জন্য লড়াই লাগতে পারত একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে।
সাক্ষাৎকারে শোয়েবকে বলতে শোনা গিয়েছে, “অন্তত ২০-২৫ কোটি টাকাও দাম পেতে পারত বাবর আজম।” কেরিয়ারে ১২৬টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ৪১৯২ রান রয়েছে বাবরের (Babar Azam)। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর সামনে কেবল ভারতের রোহিত শর্মা। তবুও পাক তারকার সাম্প্রতিক টি-২০ ফর্মের দিকে তাকিয়ে এই মন্তব্যকে নেহাৎ’ই অত্যুক্তি মনে হতে বাধ্য। চলতি বছরে টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) হতশ্রী পারফর্ম্যান্স ছিলো বাবরের। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্ব থেকে। এমনকি টি-২০ দল থেকেই ছেঁটে ফেলেছে পাকিস্তান। ওপেনার হিসেবে তারা আস্থা রেখেছে সাইম আইয়ুবের (Saim Ayub) ওপের। দেশের হয়েই যিনি নিয়মিত নন আর, তাঁর পিছনে কেন এত টাকা খরচ করবে কেউ? আখতারকে বিঁধতে ছাড়েন নি ক্রিকেটজনতা।
IPL খেলেছেন শোয়েব-
২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে আইপিএলে (IPL)খেলার সুযোগ আর পান না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রথম মরসুমে সেই সংক্রান্ত কোনো রকম বিধিনিষেধ ছিলো না। সেই বার শাহীদ আফ্রিদি (Shaihid Afridi), উমর গুল, সোহেল তনবীরদের দেখা গিয়েছিলো আইপিএলের (IPL) আঙিনায়। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন শোয়েব’ও (Shoaib Akhtar)। ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিলাম থেকে তাঁকে দলে নিয়েছিলো কলকাতা। চোটপ্রবণ রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দিল্লী ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে ক্যাপিটালস)-এর বিরুদ্ধে একটি অনবদ্য স্পেলের জন্যই সকলে মনে রেখেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত আইপিএল (IPL) যাত্রাপথকে। গতির ঝড় তুলে মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে সেদিন তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।