এই মুহুর্তে বাংলার রাজনীতি মহল সরগরম বিশ্ব বাংলা লোগো বিতর্কে নিয়ে। তারই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও মঙ্গলবার ‘ফিফা লোগো’ নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, দমদম পুরসভা এবং রাজ্য সরকার ওই লোগো অবৈধ ভাবে ব্যবহার করেছে। অধীর বাবু এই ঘটনার বিহিত চেয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ‘ফিফা’র সভাপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন । যদিও দমদম পুরসভা কর্তৃপক্ষ তাঁর ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ।মঙ্গলবার বিধান ভবনে ডাকা এক সাংবাদিক বৈঠকে আধীরবাবু ফিফার নিয়মকানুন সংক্রান্ত একাধিক কাগজপত্র দেখিয়ে দাবি জানিয়েছেন যে, ‘ফিফা’র লোগো ব্যবহার করতে গেলে তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। কিন্তু দমদম পুরসভা এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে সে সব ছাড়াই এই লোগো ব্যবহার করেছে। অধীরবাবুর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট ওই দুই পুরসভা ফিফার লোগো ব্যবহার করে অর্থও তুলেছে”। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সমস্ত অভিযোগই ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরেন্দ্র সিংহ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান আধীরবাবুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরীর কি বুদ্ধি লোপ পেয়েছে! তিনি যদি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে পাঁচ মিনিটেই পদ ছেড়ে চলে যাব।’’
তবে শুধুমাত্র লোগো ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করার অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হননি আধীরবাবু, তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার এবং দমদম পুরসভা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে ফিফার লোগো জুড়ে দিয়ে সেই প্রকল্পগুলিরও প্রচার করছে । ওই সাংবাদিক সম্মেলনে আধীরবাবু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সংস্থাগুলি কীভাবে ফিফার লোগো তাদের প্রকল্পে ব্যবহার করে তা দিয়ে বিজ্ঞাপন করতে পারে? এটা অপরাধ বলে মনে করি আমি। যুবশ্রী বা কন্যাশ্রীর মত সরকারি প্রকল্পগুলির সঙ্গেও ফিফার লোগো ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে। ফিফার মত স্বশাসিত সংস্থার সঙ্গে কি রাজ্য সরকারের এই ধরনের কোনো চুক্তি হয়েছে!” অধীরবাবু জানিয়েছেন যে তিনি ফিফার কাছে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ পাঠিয়ে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ দাবী করে প্রতিকার চেয়েছেন। এব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই ফিফার মত সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে লোগো ব্যবহার করেছে। এদিকে লক্ষ্য করার মত বিষয় হল বিশ্ব বাংলা লোগো বিতর্ক প্রকাশ্যে এনেছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। ঘটনার তদন্ত চেয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে আধীর বাবু প্রশ্ন তুলেছেন যে, যে সংস্থার ‘অস্তিত্ব’ নিয়েই বিতর্ক রয়েছে, কীভাবে ফিফার লোগোর পাশে তাদের লোগো ব্যবহার করা হল!