ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট গত দীর্ঘ সময় ধরে একজন বাঁহাতি জোরে বোলারের সন্ধান করছে। বাঁহাতি জোরে বোলারের সন্ধানে ভারতীয় দলের নির্বাচকরা বারিন্দর সরিন, জয়দেব উনাকট, খলিল আহমেদের মত বেশ কয়েকজন বোলারকে সুযোগ দেন, কিন্তু কেউই দলের আশা পূর্ণ করতে পারেন নি। এখন টিম ম্যানেজমেন্টকে জাহির খান পরামর্শ দিয়েছেন যে বাঁহাতি জোরে বোলারের জন্য এত উতলা হওয়ার প্রয়োজন নেই।
বাঁহাতি জোরে বোলারের জন্য উতলা হওয়ার দরকার নেই
জাহির খান বুধবার পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বয়ানে বলেন, “যদি আপনার সঙ্গে বাঁ হাতি জোরে বোলার থাকে তো নিশ্চিতভাবেই দলের ফায়দা হয়, কারণ সে সবসময়ই আক্রমণে ভ্যারাইটি নিয়ে আসে, কিন্তু আপনাকে বাঁ হাতি জোরে বোলারকে পরীক্ষা করা নিয়ে উতলা হওয়ার উচিৎ নয়। বাঁ হাতি জোরে বোলার প্রতিভাবান হয়, কিন্তু এর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না যে আপনি এখন এমন বোলার পাবেন”।
খলিলের এখন যথেষ্ট উন্নতির প্রয়োজন
জাহির খান আগে নিজের বয়ানে খলিল আহমেদকে নিয়ে বলেন, “নিউজিল্যাণ্ডে খলিলকে একদমই ছন্দে দেখায় নি, যদিও সেখানের পরিস্থিতি সুইং বোলিংয়ের অনুকূল ছিল। আমার মনে হয় যে ওর এখনো যথেষ্ট উন্নতির প্রয়োজন। খলিল নিউজিল্যাণ্ডে শর্ট লেংথের সঙ্গে বোলিং করছিল, যা একদমই সঠিক নয়, কারণ যেখানে সুইং বোলারদের সহায়ক পিচে রয়েছে সেখানে আপনাকে বল উপরে পিচ করাতে হয়।এই স্তরে আপনাকে এই সমস্ত ব্যাপার শেখা উচিৎ”।
বুমরাহের কাছে শিখুক খলিল
জাহির খান আগে নিজের বয়ানে বলেন, “আমার মনে হয় যে খলিল নিজের দলের সতীর্থ জসপ্রীত বুমরাহের থেকে কিছু জিনিস শিখতে সফল হবে, বুমরাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিয় করার পর থেকেই লাগাতার উন্নতি করেছে”।
বোলারদের একজুট হওয়ার কারণে ভারত করতে পাচ্ছে দুর্দান্ত প্রদর্শন
জাহির খান আগে নিজের বয়ানে আরো বলেন, “যখন দায়িত্ব শেয়ার হয় তো সবসময়ই ভালো হয়। আপনি এই অবস্থায় সবসময় ভালো ফল পেতে পারেন। যদি আপনি ম্যাচের দিকে খেয়াল করেন তো দেখবেবন আলাদা আলাদা বোলাররা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রভাব ফেলেছে আর এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। মেলবোর্ণে বুমরাহের স্পেল আর শামি কিছু দুর্দান্ত স্পেল করেছিল। অ্যাডিলেডে অশ্বিন তিন উইকেট নিয়ে ভালো বোলিং করেছিল”।